ফজর থেকে তাকবিরে তাশরিক শুরু, পড়ার নিয়ম

ইবাংলা ডেস্ক নিউজ

আজ ৯ জিলহজ। ফজর থেকেই ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ’ উচ্চারণ হবে সারাবিশ্বের সকল মুসলিম নরনারীর মুখে। তাকবিরে তাশরিক একটি ওয়াজিব আমল।

রোববার (১৬ জুন, ৯ জিলহজ) ফজর থেকে শুক্রবার (২০ জুন, ১৩ জিলহজ) আসর পর্যন্ত দিনগুলোকে তাশরিকের দিন বলে। এসব দিনে মুসল্লিরা ফরজ নামাজ শেষে যে তাকবির পড়েন তাকে তাকবিরে তাশরিক বলে। এ তাকবিরে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর মহত্ত্ব, বড়োত্ব ও একক সত্তার কথা বলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন।

আরও পড়ুন…খুতবা শুরু পবিত্র হজের

মহান আল্লাহর প্রিয় বাক্যগুলোর একটি হলো- আল্লাহু আকবার। তাই তাকে খুশি করতে হলে শুধু নামাজের সময় নয় সারাদিনই তাকবির বেশি বেশি পড়া উচিত।

তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে-ফজর থেকে তাকবিরে তাশরিক শুরু, পড়ার নিয়ম ও উচ্চারণ হজের খুতবায় ফিলিস্তিনের জন্য দোয়ার আহ্বান اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ উচ্চারণ: আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ।অর্থ:আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।

আরও পড়ুন…কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, মহাসচিব হানিফ

তাকবিরে তাশরিক সংক্রান্ত মাসায়েল১. নারীরা এই তাকবিরে তাশরিক নীচু স্বরে আদায় করবেন। উচ্চস্বরে নয়। (হাশিয়া তাহতাবী ১/৩৫৭)২. ইমাম তাকবির বলতে ভুলে গেলে মুক্তাদিরা ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরা তাকবির বলবেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২)। ৩. প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালামের পর পরই কোনো কথাবার্তা বা নামাজ পরিপন্থি কোনো কাজ করার আগেই তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। (রদ্দুল মুহতার ২/১৮০)

৪. কোনো সময় সবাই বা কেউ কেউ তাকবির বলতে ভুলে গেলে এবং মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই মনে পড়লে তাকবির আদায় করে নিতে হবে। আর যদি মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে এই ওয়াজিব ছুটে যাবে। এই ওয়াজিবের কোনো কাজা নেই এবং ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি গোনাহগার হবেন। (মাবসুত সারাখসী ২/৪৫)

আরও পড়ুন…১৫ জুন পর্দা উঠবে উয়েফা ইউরো কাপ

৫. তাশরিকের দিনগুলোতে কোনো ফরজ নামাজ কাজা হয়ে গেলে ওই দিনগুলোর মধ্যে তার কাজা আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব। কিন্তু এই কাজা পরবর্তীতে অন্য সময় আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব নয়। একই সঙ্গে ৯ জিলহজের আগের কোনো নামাজ তাশরিকের নির্ধারিত দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবির বলা ওয়াজিব নয়। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৬৪)

৬. কোনো ব্যক্তির যদি জামায়াতে নামাজ আদায়কালে প্রথম দিকে এক বা একাধিক রাকাত ছুটে যায়, তাহলে ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর ওই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নিজের নামাজ আদায় করার পর তাকবিরে তাশরিক বলবেন। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২)

ইবাংলা/ বা এ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us