নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার বয়স আনুমানিক ৬৭ বছর। তবে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা তাৎক্ষণিক হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
নিহত আব্দুল খালেক ওরফে খাজা মিয়া উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চর রশিদ গ্রামের খালেক মিয়ার বাড়ির মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ৫সন্তানের জনক ছিলেন।
আরও পড়ুন…অপূর্ব আলাউদ্দিন লাঞ্ছিতের ঘটনায় ডিইউজে নেতাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ
রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চর রশিদ গ্রামের নিহতের নিজ বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ খাজা মিয়া এক সময়ে স্থানীয় বাজারের চা দোকানদার ছিল। স্ত্রী কমলা বেগম কাঞ্চনসহ নিজ বাড়িতে একা বসবাস করেন।গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে তিনি স্থানীয় কাঞ্চন বাজার থেকে প্রতিবেশী আরেক লোকের সাথে বাড়ি ফিরেন।
কিন্তু বাজার থেকে তিনি আর ঘরে আসেননি। রোববার সকালে তার স্ত্রী ফজর নামাজ পড়তে উঠে স্বামীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে সকাল ৬টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে স্বামী খাজা মিয়ার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহতের মেজো ছেলে মো.ছিদ্দিক উল্যাহ বলেন, বাবা খুবই সহজ সরল লোক ছিলেন। তার সাথে কারো বিরোধ ছিলনা। কে বা কাহারা তাকে নৃসংশ ভাবে হত্যা করেছে। এখন পর্যন্ত হত্যার কোনো কারণ তাদের জানা নেই।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তবে শরীর থেকে মাথা আলাদা হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
আরও পড়ুন…শিশুদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় উৎকর্ষ সাধনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এখনো নিহতের স্বজনেরা কোনো অভিযোগ করেনি। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। পুলিশ ক্লু-লেস এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.