গোটা বিশ্বে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কেননা নানা ইস্যুতে এবারের নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে বিতর্কের সময় মঞ্চের বাইরে চলে ব্যাপক বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনের নিন্দায় বিক্ষোভ করে শত শত মানুষ। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন…ইউনূস সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানালেন নেদারল্যান্ডস
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্ক শুরুর আগে থেকেই ন্যাশনাল কন্সটিটিউশন সেন্টারের বাইরে জড়ো হয় কয়েকশ’ আন্দোলনকারী। এ সময়, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবাদ জানান তারা।
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে দেয়া হয়েছিলো ব্যারিকেড। তবে, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষুব্ধ জনতা এগিয়ে যেতে চাইলে সংঘর্ষের ঘটনা-ও ঘটে। বিক্ষোভের সময়, অনেকে ধরপাকড়ের শিকার হয়। মার্কিন নির্বাচনের আট সপ্তাহ আগে বিতর্কে মুখোমুখি কমালা ও ট্রাম্প। ভোটের আগেই গাজা ইস্যুতে সমাধান চায় আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের দিকে এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দেন কমলা। দুজন করমর্দন করেন। এরপর কমলার বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
এবিসি নিউজ ছাড়াও বিবিসি, সিএনএন, চ্যানেল ফোরসহ বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যম বিতর্কটি সরাসরি সম্প্রচার করছে। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থীর এই বিতর্ককে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দেড় ঘণ্টার এই বিতর্কের অন্যতম বিষয় হতে পারে অর্থনীতি, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি। বিতর্ক শুরুর আগে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের প্রচারশিবির থেকে এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বিতর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে অভিবাসন।
তবে বির্তকের এক পর্যায় ইউক্রেন ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস একে-অন্যকে বাক্যবাণে জর্জরিত করেন। ইউক্রেন নীতি নিয়ে ট্রাম্প বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কড়া সমালোচনা করলে পাল্টা আঘাত করেন কমলা। বললেন, পুতিন তোমাকে দুপুরের খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলবে। ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ট্রাম্প বাইডেনের সমালোচনা করলে কমলা বলেন, তুমি বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়াই করছো না। তুমি আমার বিরুদ্ধে লড়াই করছো।
ইউক্রেনের প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে কমলা বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট না হওয়ায় ন্যাটো মিত্ররা কৃতজ্ঞ। অন্যথায় পুতিন কিয়েভে বসে ইউরোপের বাকি অংশের দিকে চোখ দিতেন। পুতিন একজন স্বৈরশাসক যিনি তোমাকে দুপুরের খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলবে।
এসবের জবাবে কমলাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিহিত করেন ট্রাম্প। তার দাবি, রুশ আক্রমণের আগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা করে যুদ্ধ ঠেকাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
ইবাংলা/ বা এ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.