বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ নির্ধারণ করতে হবে। যদিও সব পরিবর্তন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তবুও তারা যে মূল দায়িত্ব পালন করছে, সেটি সঠিকভাবে পালন করা আবশ্যক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বৈরাচারের অবশিষ্ট সহযোগীরা এখনো প্রশাসনে সক্রিয় রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ছোট ছোট সমস্যা ভবিষ্যতে বড় আকার ধারণ করতে পারে।
আরও পড়ুন…চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত
ঝিনাইদহের সাব্বির ও প্রকৌশলী রাকিব হত্যার প্রতিবাদে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান, যেখানে সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা এবং সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তারেক রহমান আরও বলেন, নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। আগস্টের আন্দোলন জনগণের আরেকটি বিজয়ের বার্তা এনেছে। স্বৈরাচার পতনের এই মহাযুদ্ধে সকল স্তরের মানুষের অবদান রয়েছে, যা যথাযথভাবে মূল্যায়িত না হলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও বিজয় নিশ্চিত করতে সকলকে শপথ নিতে আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছরে এবং বিশেষ করে জুলাই ও আগস্ট মাসে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের আত্মত্যাগ তখনই সফলতা লাভ করবে, যখন দেশের মানুষ তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং দেশকে একটি স্বাভাবিক ও বৈষম্যহীন পথে ফিরিয়ে আনতে হবে।
তারেক রহমান শেষ কথা হিসেবে দেশের প্রতিটি মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, কৃষক ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা, শিক্ষা, এবং কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করে একটি সুন্দর, নিরাপদ ও বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আহ্বান জানান।
ইবাংলা/রাজিব
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.