নোয়াখালীতে আবারো পানিবন্দি ২ লাখ ৬ হাজার পরিবার

নোয়াখালী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে নোয়াখালী পুলিশ সুপার, ডিবি অফিস, জেলা রেকর্ড রুম,ডিসি, এসপির বাসভবনের নিচ তলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেবা প্রত্যাশীরা পড়েছে চরম দূর্ভাগে। এছাড়াও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার সড়ক ও বাসাবাড়ির উঠানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

Islami Bank

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলার সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা গেছে নিন্মাঞ্চলীয় এলাকা গুলোতে নতুন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

সদর উপজেলার বাসিন্দা কাজল জানান, গত কয়েক দিন যাবত নোয়াখালীতে রোদ্র উজ্জল আবহাওয়া থাকায় জলাবদ্ধতা কমে আসে। গত ২৪ ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা আবার বেড়েছে। মূলত গত দেড় মাস ধরে নোয়াখালীতে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রোদ হলে জলাবদ্ধতা কমে,বৃষ্টি হলে আবার জলাবদ্ধতা বাড়ে।

বেগমগঞ্জের বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, নোয়াখালীর পানি নিষ্কাশিত হওয়ার প্রধান খাল,বিল,জলাশয়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরো অচল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়। এজন্য বন্যার পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রুপ নেয়।

one pherma

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী,সদর উপজেলায় এখনো পানিবন্দি রয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৮১৫টি পরিবার। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি পানিবন্দি রয়েছে বেগমগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলায় ১লাখ ২৫হাজার ৩১৫ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। সর্বনিন্ম পানিবন্দি রয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলায়। এখানে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যক্ষেক আরজুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো জানান,  মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আরো ২/১ দিন হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

নোযাখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসন কাজ করছে। এর মধ্যে পানি নিষ্কাশনে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হলে মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us