বিয়ের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াতে নগদ অর্থ, অতিরিক্ত ছুটি এবং বিভিন্ন প্রণোদনা রয়েছে। কিন্তু এত উদার উদ্যোগের পরও ধীরে ধীরে কমছে বিয়ের সংখ্যা। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বিয়ের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, যা সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটছে চীনে।
চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সরকারী তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে দেশব্যাপী ৪.৭৪৭ মিলিয়ন দম্পতি নিবন্ধিত বিবাহ করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় তা ৯৪৩ হাজার কম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আর্থিক অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনে স্থিতিশীলতার প্রতি অধিক মনোযোগ তরুণদের বিয়েতে অনীহা তৈরি করছে। তরুণদের বিয়ে না করার প্রবণতা দেশের নীতিনির্ধারকদের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা বাড়াতে সরকার নানা নীতি প্রণয়ন করছে।
এদিকে, চীনে বিয়ে এবং সন্তান ধারণ একটি প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এটি চীনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে এবং এটি একটি ট্রেন্ডিং থ্রেড হয়ে উঠেছে।
উপরন্তু, বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীরা এখন বিবাহ এবং সন্তান পরিকল্পনাকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হিসেবে দেখে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত, যেখানে তাদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। দেশে সাম্প্রতিক একটি আইনী সংশোধনী বিবাহের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে এবং বিবাহবিচ্ছেদকে কঠোর করার পদক্ষেপ নিয়েছে। উদ্দেশ্য অল্পবয়সী দম্পতিদের মধ্যে বিবাহিত জীবনকে উত্সাহিত করা।
ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা বাড়াতে দেশটির নীতিনির্ধারকরা আরও পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে, তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে এই প্রণোদনা কতটা সফল হবে তা দেখার বিষয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.