সাবেক কমিশনার হারুনের নেতৃত্বে মতিঝিল এজিবি কলোনীস্থ এলাকায় অর্থের বিনিময়ে চলছে আওয়ামী পূর্নবাসন। এলাকার চিহ্নিত আওয়ামী ক্যাডারদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাদের মামলায় নাম অন্তর্ভুক্তি থেকে অব্যাহতি ও ব্যবসায় নিয়ন্ত্রন অব্যাহত রাখার ক্লিন চেক দিচ্ছে হারুন।
ইতোমধ্যেই মতিঝিলের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সাবেক ১০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি, যুবলীগ দক্ষিনের ক্যাসিনো সম্রাট-খালিদের শিষ্য মারুফ রেজা সাগরের সহায়তায় অবৈধ স্থাপনাসহ অন্যান্য দখল বানিজ্যে সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন নিয়েছে হারুন। আর এই সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে স্বয়ং মারুফ রেজা সাগরের ১০ নং ওয়ার্ড কমিশনার কার্যালয়ের পার্শ্বে কাঁচাবাজার সংলগ্ন যুবলীগের অফিস থেকেই।
আর দখল বানিজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছে যুবদলের ফারুকসহ স্বয়ং মারুফ রেজা সাগরের আপন ছোট ভাই গুটি রাব্বি। রাব্বি বিগত সময়ে কয়েকবার বিপুল সংখ্যক ইয়াবাসহ গ্রেফতার হলেও বড় ভাইয়ের আশীর্বাদে ছাড়াও পেয়ে যায়। যদিও শেষবার কয়েকমাসের হাজতবাস করে এখন হারুনের ছায়ায় বহাল তবিয়তেই মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আন্ডার ওয়ার্ল্ডের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের আশীর্বাদপুষ্ট মারুফ রেজা সাগরের নিয়ন্ত্রন অব্যাহত রাখতে সিন্ডিকেটের ছক অনুযায়ী কাজ করছে হারুন। এই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস এ ব্যপারে হারুন-মজনু গং কে সতর্ক করলেও আব্বাসের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী সোহেলের পৃষ্ঠপোষকায় ও হিস্যার বিনিময়ে হারুন অব্যাহতভাবে দখলবাজিসহ অন্যান্য অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সরকারী এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত অবৈধভাবে স্থাপিত কোচিং বানিজ্যের নিয়ন্ত্রন, ডিস-ইন্টারনেট ব্যবসার দখল, হলিডে মার্কেট থেকে নিয়মিত চাঁদা বানিজ্যসহ সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রন করছে এ সিন্ডিকেট। মুদ্রার ওপিঠে মতিঝিলের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগরের ছক বাস্তবায়ন করছে হারুন। প্রভাব বিস্তারে হারুনের লোকবলের যোগান দিচ্ছে সাগরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী। এ যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
সাগরের পরিবহন ব্যবসাসহ, অবৈধ অফিস ও দোকানসহ সবকিছুর পাহাড়াদার এখন হারুন আর যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা রীতিমত যুবদলের সক্রিয় কর্মী। নিশ্চুপ প্রশাসনের নাকের ডগায় ছড়ি ঘুরিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের এ প্রভাব ক্রমাগত সাধারনের জন্য অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.