রাশিয়াকে চাপে রাখতে এবং অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে ইউরোপজুড়ে প্রায় ৩০টি সামরিক ঘাঁটি সচল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে প্রায় ৮টি ঘাঁটি থেকে বিমান অপারেশন এবং ৪টি ঘাঁটি থেকে নৌ অপারেশন পরিচালনা করে ওয়াশিংটন। এসব ঘাঁটির অবস্থান যেমন- রাশিয়ার সীমানাঘেঁষা দেশগুলোতে রয়েছে তেমনি রয়েছে দূরবর্তী ব্রিটেনেও।
শুধু ব্রিটেনেই মার্কিন বিমান বাহিনীর তিনটি ঘাঁটি রয়েছে। অত্যন্ত সুরক্ষিত এই ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা দিয়ে থাকে খোদ রয়্যাল এয়ারফোর্সও। কিন্তু সেই ঘাঁটিগুলোর ওপরেই হঠাৎ ঘটেছে বিস্ময়কর ঘটনা। বিমানঘাঁটির ওপর ও আশপাশের এলাকায় রহস্যজনক বেশকিছু মানুষবিহীন ড্রোন উড়াউড়ি করছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, বুধ থেকে শুক্রবারের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সাফোকের আরএএফ লেকেইনহিথ ও আরএএফ মিল্ডেনহল এবং নরফোকের আরএফ ফেল্টওয়েল বিমানঘাঁটির ওপর ছোট ছোট ওই ড্রোনগুলো উড়তে দেখা যায়। তবে যে ড্রোনগুলো এসব বিমানঘাঁটির ওপর দেখা গেছে, সেগুলো শত্রু দেশের কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এমনকি এ নিয়ে মুখ খুলতেও রাজি হয়নি মার্কিন বিমানবাহিনী। বিশেষ করে ওই ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে কিনা বা করা হয়ে থাকলে কী ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেনি কেউ। তবে এসব ঘাঁটির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ব্রিটিশ সরকারও। সেখানে ঠিক কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে তারা। যুক্তরাজ্যের বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ড্রোনগুলোর বিষয়ে সব তথ্য এখনই তারা প্রকাশ্যে আনবে না। বিমানঘাঁটিগুলোকে রক্ষা করা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি।
তারা আরও জানিয়েছে, কেউ চাইলেই যুক্তরাজ্যের বিমানঘাঁটির নিরাপত্তা ভাঙতে পারবে না। এ ঘটনার পর ঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
মার্কিন বাহিনীর ব্যবহার করা এসব ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান রয়েছে। এছাড়া মার্কিন সেনাবাহিনীরও উপস্থিতি রয়েছে। আর তাই একপ্রকার মুখ বন্ধ করে বসে আছে ব্রিটিশ ও মার্কিন সরকার। কয়েক দিন আগেই পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলার আভাস দিয়েছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। তাই এই মুহূর্তে এমন ঘটনা সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে অনেকের মনে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.