প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ (২২)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামির ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের প্রমাণ মিলছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর প্রমাণ মিলেছে।
রূপগঞ্জের ৩০০ ফিট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী।
আসামিদের মধ্যে আছেন প্রাইভেটকারের চালক মুবিন আল মামুন (২০)। তিনি রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন ওই গাড়িতে থাকা মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার রিজওয়ানুল করিমের ছেলে মিরাজুল করিম (২২) এবং উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাহাউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে আসিফ চৌধুরী। গ্রেপ্তার তিনজনই শিক্ষার্থী। তাদের গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি মদের খালি বোতল ও এক ক্যান বিয়ার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে আসামিরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন এবং গাড়ির কাগজপত্র না দেখাতে পারায় তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন, বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলের অমিত সাহা (২২) ও মেহেদী হাসান (২১)। মাসুদসহ তারা তিনজনই বুয়েটের সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, মাসুদের বাসা রাজধানীর কলাবাগানে। অমিত ও মেহেদী হাসান বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলে থাকেন। রাতে তিনজন মোটরসাইকেল নিয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় ঘুরতে যান। সেখানে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় তিনজন আহত হন। পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া, আহত অমিতকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে এবং মেহেদীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইবাংলা বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.