বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বহুল আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলা। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে একটি অস্ত্রের চালান উদ্ধার হয়, যা পরবর্তীতে “১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
আরও পড়ুন…জাতিসংঘের কাছে সহযোগিতা চাইলেন নির্বাচন কমিশন
ওই সময়, কয়েকটি বিদেশি অস্ত্র ট্রাক ভর্তি হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। এই অস্ত্রগুলি ছিল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য ব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) এবং আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাদের রায় ঘোষণা করেছে। হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি নাসরিন আক্তার এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়টি দেন।
এই মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্য আসামিরা আপিল করেছিলেন, তবে হাইকোর্ট তাদের আপিল খারিজ করে দিয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ডের আদেশটি বহাল রেখেছে। এর মাধ্যমে তারা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা অনুমোদন করেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়, যা বাংলাদেশের আইনগত এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মামলাটির তদন্তে অনেক বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং আইনজীবীর নাম জড়িয়ে পড়েছিল, এর মধ্যে অন্যতম ছিল সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। তিনি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় আসামি ছিলেন, এবং দীর্ঘ সময় ধরে মামলাটি আদালতে চলছিল।
তবে সম্প্রতি, লুৎফুজ্জামান বাবর১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। বাংলাদেশের উচ্চ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে মুক্তি দিয়েছে। এর ফলে এই মামলার নানা জটিলতা এবং বিতর্ক আরও গাঢ় হয়েছে, কারণ এটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
এই খালাসের ফলে মামলার অন্যান্য আসামি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে।
ইবাংলা/বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.