আনন্দ-উৎসবে শেষ হলো ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’
ইস্রাফিল হাওলাদার
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর সূচনাকে ঘিরে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হলো রাজধানীর অন্যতম আকর্ষণ ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। রঙিন মুখোশ, লোকজ মোটিফ, ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সুর আর হাজারো মানুষের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ চত্বর।
আরও পড়ুন…দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে টিএসসি, শাহবাগ হয়ে ফিরিয়ে আনা হয় অনুষদের সামনেই। এবারের শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ছিল “নববর্ষে ঐক্যের আহ্বান”—যা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
চারুকলার শিক্ষার্থীদের হাতে নির্মিত বিশাল আকারের মুখোশ, হাতি, ঘোড়া, মাছসহ নানা প্রতীক চোখে পড়ার মতো ছিল। লোকজ শিল্পকলার নিপুণ ছোঁয়ায় সাজানো এসব উপকরণ আকৃষ্ট করে পথচারী ও পর্যবেক্ষকদের।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, “প্রতিবারই এই আয়োজনে অংশ নিয়ে নতুন করে দেশ, সংস্কৃতি আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি।”
নববর্ষের শোভাযাত্রাটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী নয়, এটি এখন জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো স্বীকৃত এক বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ। ২০১৬ সালে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে “Intangible Cultural Heritage” ঘোষণা করা হয়।
শোভাযাত্রা শেষে চারুকলা প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী চলেছে আবৃত্তি, গান, লোকনৃত্য ও হস্তশিল্পের প্রদর্শনী। হাজারো মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে অংশ নেয় এই উৎসবে।
বাংলা নববর্ষের দিনটিকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে ছিল বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আনন্দ, উৎসব ও ঐতিহ্যে ভরপুর এই দিনটি একযোগে উদযাপন করেছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ।
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.