একেবারে সীমিত রয়েছে রাজধানীর সড়কে গণপরিবহনের চলাচল। বিভিন্ন কোম্পানি বাস সড়কে কয়েকটি করে চলতে দেখা গেলেও অধিকাংশ বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তবে বন্ধ থাকা পরিবহনগুলো অধিকাংশই মিরপুর রুটের।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবি, রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে বাকবিতণ্ডা। এতে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ত্যাক্ত-বিরক্ত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। যদি নগরীতে পুরনারায় সিটিং সার্ভিস চালু হয় তবে সব পরিবহন শৃঙ্খলার সঙ্গে চলাচল করবে। মূলত এই কারণেই কিছু বাসের চলাচল থাকলেও বেশিরভাগ বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বাস চলাচল বন্ধ
এদিকে, রাজধানীতে কম সংখ্যক বাসের চলাচল থাকায় ভোগান্তীতে পড়েছেন যাত্রীরা। রাজধানীর বাস স্ট্যান্ডগুলোতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে তাদের। যাত্রীরা বলছেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করায় একদিকে যাত্রীদের সুবিধা হয়েছে। কারণ ১০ টাকার ভাড়াও সিটিং সার্ভিসগুলো ২০ টাকা রাখতেন। বাসে উঠলেই ২০ টাকা। ভাড়া বাড়ানো হয়েছে এটাও সাধারণ মানুষের জুলুম হয়ে যাচ্ছে বলে যানান তারা।
পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, শ্রমিকদের সিটিং সার্ভিসের দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায় দাবি। বুধবার (১৭ নভেম্বর) পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, পরিবহন শ্রমিকদের সিটিং সার্ভিসের চালুর দাবিকে বাস মালিকদের একটি অংশ সমর্থন করছে। তারা শ্রমিকদের অন্যায় দাবিকে প্রশ্রয় দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে চাইছেন। তাদের এই দাবিকে প্রশ্রয় দিলে গণপরিবহনের নৈরাজ্য বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল করবে। যারা সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়কে বাস নামাবে না বা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের অন্যায় দাবি মেনে নেওয়া হবে না। যেসব মালিক শ্রমিকদের অন্যায় দাবিকে প্রশ্রয় দিয়ে বাড়তি মুনাফা অর্জন করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইবাংলা/ নাঈম/ ১৭ নভেম্বর, ২০২১