মোবাইল কোর্ট বিচারিক হাকিম দ্বারা পরিচালনার প্রস্তাব

সংসদ প্রতিবেদক

প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দিয়ে নয়,বরং বিচারিক হাকিমদের দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রস্তাব এসেছে জাতীয় সংসদে।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সংসদে একটি বিল পাসের সময় জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমন প্রস্তাব তোলেন। ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল-২০২১’ পাসের প্রক্রিয়ায় কথা বলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সদস্যরা। পাস হওয়া বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিধান রয়েছে।

শামীম হায়দার আরও বলেন, ‘মোবাইল কোর্টের বিষয়টি এখনও সুপ্রিম কোর্টে পেন্ডিং। এ অবস্থায় প্রতিটি আইনেই মোবাইল কোর্ট আসছে। মোবাইল কোর্ট রাষ্ট্রের প্রয়োজনে হতে পারে। সেখানে জুডিশিয়াল মোবাইল কোর্ট করা যায়। জাজরাই মোবাইল কোর্ট করবেন। সেক্ষেত্রে রায় আরও পারফেক্ট হবে।’

সংসদে আলোচনায় বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে এমন কোনো আইনে মোবাইল কোর্টকে (ভ্রাম্যমাণ আদালত) যুক্ত করা এখন এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের অতিরিক্ত আমলাপ্রীতি সর্বজনবিদিত। এই আমলাপ্রীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতারাই নানা ফোরামে ক্ষোভ-উষ্মা প্রকাশ করছেন।’

বিলের আলোচনায় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ অর্থাৎ ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ অধ্যায়ের অংশ। এটা যদি রাষ্ট্রের মূলনীতি হয়ে থাকে তাহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোনোভাবেই বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন না। এটা সুস্পষ্টভাবে অসাংবিধানিক। এটা আদালতেরও বক্তব্য।’

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলার রায়ে বিচারকের বিতর্কিত পর্যবেক্ষণ নিয়ে আইনমন্ত্রীর উদ্যোগের সমালোচনাও করেন রুমিন।

তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতকে পুরো নিজের কব্জায় রাখা, সরকারের একজন মন্ত্রী বিচার বিভাগ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন- এই দৃশ্য অসুন্দর, অশোভনও বটে। একটা সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা হতে পারে না। দেশের নিম্ন আদালতের একজন বিচারকের রায় বা পর্যবেক্ষণে কোনো ভুল হলে সেটার তদারকি করার জন্য উচ্চ আদালত আছে, তারাই সেটা করবেন।’

অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিধান রেখেই ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে পাস হয়।

ইবাংলা /টিআর /১৮ নভেম্বর ২০২১

Contact Us