প্রশ্নপত্র ফাঁস: বুয়েট শিক্ষককে অব্যাহতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি ব্যাংকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে বুয়েট।
রোববার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যে বুয়েটের শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের নাম উঠে আসে।
এদিকে প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দেলোয়ার ও রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহাখালী থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) তিনজনই ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদেও অপরাধ স্বীকার করেছেন তিনজন। এ সময় তারা ছয় বছর ধরে প্রশ্নফাঁসে জড়িত বলে জানান। ৬ নভেম্বর সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস করে উত্তর তৈরির কাজ কীভাবে হয়েছে তা বর্ণনা করেন তিনজন।
জবানবন্দিতে দেলোয়ারের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অল্প টাকায় পরীক্ষার টেন্ডারগুলো আনতেন বুয়েটের শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধর। দেলোয়ারও কয়েকবার নিখিলের ব্যাগে প্রশ্ন দিয়েছেন। তবে ব্যাগে প্রশ্ন নিয়ে নিখিল তা বিক্রি করেছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করতে পারেননি দেলোয়ার।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়। গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রশ্নফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে প্রথমে গ্রেফতার করেন। পরে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ডিবি বলছে, ব্যাংকের পরপর চারটি নিয়োগ পরীক্ষাতেই প্রশ্নফাঁস করেছে চক্রটি। পরে ১১ নভেম্বর রাতে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
ইবাংলা /টিআর /২১ নভেম্বর ২০২১