বধুবেশে কন্যা গেল পরীক্ষার হলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

বিয়ের দিন তারিখ চূড়ান্ত।  এর মধ্যেই ঘনিয়ে আসে পরীক্ষার তারিখ।  একদিকে পরীক্ষা আবার অন্যদিকে বিয়ে।  কোনটা রেখে কোনটা! না, বাদ যায়নি কোনোটিই।  দুটোরই জয় হলো।  বিয়ের আগের আনুষ্ঠানিকতা হলো, বিয়ে হলো আবার পরীক্ষা দেয়াও হলো।  তাইতো সবকিছু ঠিক রাখতে কনের সাজেই ছুটলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে।

হাতে মেহেদি, শরীরে সোনার গহনা, পরনে বেনারসি-পুরোপুরি বধূ সাজে অন্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরীক্ষা দিলেন ভারতের শিবাঙ্গী।  আর সেই ছবি রীতিমতো ভাইরাল।  ভালো-মন্দ মন্তব্যে ভরে উঠে সামাজিকমাধ্যম।

আরও পড়ুন : বৈধতা পেল কোমল পানীয় মাহুয়া!

কেউ কেউ বলেন, ‘এতটা বাড়াবাড়ি না করলেই কি নয়! শিবাঙ্গীর ইচ্ছেটা অতিরঞ্জিত!’  তাদের পাল্টা উত্তর দিয়ে অন্য একটি অংশ বলছে, ‘নিন্দুকদের কথায় কান দিও না শিবাঙ্গী।  বিয়ের চেয়ে শিক্ষাকে বড় করে দেখানোর তোমার এই যে প্রয়াস, তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’ অন্য একজনের কথায়, ‘নিজের চোখ দিয়ে অপরকে বিচার করা বন্ধ করুন।  শিক্ষাকে শিবাঙ্গী যে গুরুত্ব দিয়েছেন, সেটাকেই বড় করে দেখুন।’

মন্দ কথার জবাব দিয়েছেন শিবাঙ্গীও।  তিনি বলছেন, ‘আমার বিয়ের দিন ঠিক হয়ে যাওয়ার পরই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হয়।  দিনটি বাতিল করা আমাদের পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না।  আর বিয়ের দিন সকাল থেকেই পাত্রীর বাড়িতেই প্রথা মেনে নানা অনুষ্ঠান লেগেই থাকে।  তাতে কনেকে অংশ নিতে হয়।  আমি ব্যতিক্রম নই।  তাই বিয়ের পোশাক পরে পরীক্ষা দিয়েছি।  তা দেখে কেউ তির্যক মন্তব্য করতেই পারেন। তবে আমি মনে করি, বিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা নয়।

ব্যাচেলর অব সোশ্যাল ওয়ার্ক (বিএসডব্লিউ) নিয়ে পড়ছেন শিবাঙ্গী।  হবু স্বামীর বিষয়ও একই।  দুজনই শান্তিনিকেতন কলেজের শিক্ষার্থী।  এদিন পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল।  শিবাঙ্গী কনের সাজে সেই পরীক্ষা দেয়ার পরই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।

ইবাংলা/এএমখান/২৪ নভেম্বর, ২০২১

Comments (0)
Add Comment