সুইডেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। পার্লামেন্টে জোটের বাজেট বিল প্রত্যাখ্যান করায় জোট থেকে গ্রিন পার্টি বের হয়ে গেলে এ সিদ্ধান্ত নেন অ্যান্ডারসন। রয়টার্স।
তবে একক-দলীয় সরকারের প্রধান হিসাবে তিনি আবারো প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হতে চান বলে পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বর্তমান অবস্থায় আমি স্পিকারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে বলেছি। তবে আমি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের একক সরকারে প্রধানমন্ত্রী হতে প্রস্তুত আছি।
পুনর্নিযুক্ত হওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে অ্যান্ডারসনের। কারণ সমর্থন তুলে নেওয়া গ্রিন পার্টি বলেছে, পার্লামেন্টে যে কোনো নতুন নিশ্চিতকরণ ভোটে অ্যান্ডারসনকে সমর্থন করবে। অনদিকে বামদলও বলেছে, তারা অ্যান্ডারসনকে সমর্থন করবে। যদিও দলগুলো একটি বাজেটে একমত হতে পারেনি তবুও তারা চাইবে সেখানকার একটি জনপ্রিয়, অভিবাসনবিরোধী দল সরকার পরিচালনা করুক।
এর আগে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা অ্যান্ডারসন স্টেফান লোফভেনের কাছ থেকে বাম ও সেন্টার দল সমর্থিত জোটের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে লিঙ্গ সমতার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সুইডেনে কখনোই কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী হয়নি।
৫৪ বছর বয়সী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন চলতি মাসের শুরুতে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের নেতা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বুধবারের (২৪ নভেম্বর) ভোটে তাকে সমর্থনের বিনিময়ে পেনশন বাড়ানোর জন্য বাম দলের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন তিনি। এর আগে তিনি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের জোট অংশীদার গ্রিন ও সেন্টার পার্টির সমর্থন পেয়েছিলেন।
কিন্তু সেন্টার পার্টি নতুন সরকারের অর্থ বিলকে সমর্থন করতে অস্বীকার করলে সে জোট ভেঙে যায়। সে অবস্থায় অ্যান্ডারসনের সামনে পদত্যাগের আর কোনো বিকল্প ছিল না। পার্লামেন্টের স্পিকার এখন একটি নতুন সরকার খোঁজার প্রক্রিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পরের সরকার গঠনেও সম্ভবত তিনি অ্যান্ডারসনকেই এগিয়ে রাখবেন।
ইবাংলা / টিপি/ ২৫ নভেম্বর ২০২১