বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হাতে আপহরনের ৬০ ঘন্টা পর মুক্তিপন দিয়ে জিম্মিদশায় থেকে ছাড়া পেয়েছে অপহৃত সাত জেলে।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে অপহৃত জেলেরা তাদের নিজ নিজ বাড়ি এসে পৌছায়। এসময় পরিবারের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
গত রবিবার (২১ নভেম্বের) রাত ৯টায় বঙ্গোপসাগর থেকে এসব জেলেদের মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণ করে জলদস্যুরা। মুক্তিপন দিয়ে ছাড়া পাওয়া জেলেরা হলেন, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার লোকমান হোসেন (৬০), জাকির হোসেন (৫০), বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার জেলে নেছার খান (৫০), কামাল হোসেন (৪৫), জামাল হোসেন, (৪৮) ও পিরোজপুরের হেলাল (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (৪০)।
মুক্তিপন দিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলায় গ্রামের বাড়ীতে ফিরে আসা জেলে লোকমান (৬০) ও জাকির হোসেন (৫০) জানান, গত ২১ নভেম্বের রাত ৯টায় জলদস্যুরা বঙ্গোপসাগর থেকে মুক্তিপনের দাবীতে তাদেরসহ সাত জেলেকে অপহরণ করে।
এরপর জলদস্যুরা সারারাত ট্রলার চালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় তাদের। কোন খাবার না দিয়ে বেদম মারপিট করে তাদের। অপহরনের একদিন পরে মোবাইল ফোনে জেলেদের মালিকদের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা পরিশোধ করতে বলে জলদস্যুরা।
এসময় জেলেদের মারধর করা হয়। পরে জেলে লোকমানের আত্মীয়-স্বজন বিকাশের মাধ্যমে জলদস্যুদের কাছে মুক্তিপনের টাকা পাঠায়। এরপর অপর কয়েক জেলেও একইভাবে জলদস্যুরদের টাকা পাঠায়।
জলদসুরা মুক্তিপনের তিন লাখ টাকা পাওয়ার পর বুধবার (২৪ নভেম্বর) ভোরে জলদস্যুরা আপহৃত সাত জেলেকে জলদস্যুদের ব্যবহৃত ফিশিং ট্রলারের আইসকুঠুরিতে আটক অবস্থায় রেখে অপর একটি ট্রলারে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বের হয়ে জেলেরা জানতে পারেন তাদের অবস্থান ভোলা জেলার চর-মমতাজ এলাকায়।
ছাড়া পাওয়া জেলেরা সেখান থেকে ট্রলার চালিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এসে নৌ-পুলিশকে ঘটনা জানায়। এরপর থানা পুলিশের সহায়তায় জেলেরা বাগেরহাটের শরণখোল, বরগুনার পাথরঘাটা ও পিরোজপুরের গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন।
বাগেরহাটের শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি ) মো. সাইদুর রহমান জানান, জলদস্যুদের ব্যবহৃত ফিশিং ট্রলারে করে জেলেরা ফিরে আসায় কুয়াকাটার জেলেরা তাদের ডাকাত সন্দেহ করে। পরে বাগেরহাট, বরগুনা ও পিরোজপুর পুলিশ রিপোর্ট রিপোর্ট দেয়ার পরে সেখানের নৌ-পুলিশ ও র্যাব জেলেদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেন।
ইবাংলা /টিআর /২৫ নভেম্বর ২০২১