কাজিপুরবাসির স্বপ্ন পূরণই মূল লক্ষ্য

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

বাবার নির্দেশ আর কাজিপুরবাসীর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নাসিমপুত্র প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এমপি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে চলছেন সর্বত্র। তাই বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুরে নানামুখী উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে সোনামুখীতে ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করা হয়।

শুক্রবার(২৫ জুন) সকালে সোনামুখীতে এই ড্রেনেজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। কাজিপুর উপজেলা পরিষদের সহায়তায় এলজিইডি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজে এই কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

স্থানীয়রা ই বাংলাকে বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র সোনামুখীবাসীর প্রাণের দাবী পূরণ হতে চলেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক সফল চারবারের মন্ত্রী প্রয়াত জননেতা মোহাম্মদ নাসিমের সর্বশেষ উন্নয়নমূলক কাজ ছিলো এটি।

প্রয়াত এই জননেতা মৃত্যুর পূর্বেও এই ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিষয়ে বর্তমান এমপি নাসিম তনয় প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এবং কাজিপুরের ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকীকে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এলজিইডি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চলছে।

প্রকল্প উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী খান, সোনামুখী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মাস্টার, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম প্রমূখ।

এসময় সোনামুখী হাটের দোকানদার হায়দার আলী বলেন, এই ড্রেন নির্মাণ করে ‘জয়’ সাহেব আমাদের অনেক উপকার করলেন। এতে করে আমরা এখন থেকে নির্ভয়ে ভালোভাবে দোকান চালাতে পারবো।

স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জানান, এই কাজটি আমাদের প্রিয় প্রয়াত জননেতা মোহাম্মদ নাসিম অগ্রাধিকার চোখে দেখেছিলেন। সেই কাজ তারই উত্তরসূরি বর্তমান এমপি তানভীর শাকিল জয়ের মাধ্যমে আজকে কাজ হচ্ছে। কিন্তু প্রয়াত জননেতা দেখে যেতে পারলেন না। তবুও আমরা এই কাজ বাস্তবায়ন হওয়াতে অত্যন্ত খুশি।

মুঠোফোনে সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ‘ই বাংলাকে’ বলেন, কাজিপুরবাসির স্বপ্ন পূরণই আমার মূল লক্ষ্য। বাবার নির্দেশ ছিলো এই কাজটি সম্পন্ন করার। তাছাড়া সোনামুখীবাসী দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতায় কষ্ট ভোগ করেছে। তাই এই ড্রেন নির্মাণ হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।

জয় আরও বলেন, বাবার অসমাপ্ত এই কাজটি করতে পেরে আর সোনামুখীবাসির প্রাণের দাবি যা আমার দায়িত্ব বলে মনে করি সেটি পূরণ করতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই দলীয় নেতাকর্মিদের সঙ্গে নিয়ে কাজিপুরের সর্বত্র সবধরণের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত রাখব এবং কাজিপুরবাসির সুখে দুঃখে কাছে থাকব।

ই আই/ কাজিপুর/ ২৫ জুন, ২০২১

পূরণইলক্ষ্যস্বপ্ন
Comments (0)
Add Comment