আপনার স্বামী আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বা পরকীয়ায় জড়িয়েছে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে ভাবতে হবে। স্বামীর থেকে প্রতারিত হয়ে তার প্রেমিকার সাথে মুখোমুখি হতে চান?
তার প্রেমিকার সাথে কথা বলতে মাথায় রাখুন যে বিষয়গুলো
১. প্রথমত আপনি কি সত্যিই তার মুখোমুখি হতে চাচ্ছেন? আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে তাকে না চিনেন তবে এক বিষয় আর চিনলে ভিন্ন ব্যাপার। ধরে নিন আপনার স্বামী আপনার সাথে যার জন্য বিশ্বাসঘাতকতা করছে সে ইনি নন। মনে করুন তার সাথে কথা বললে আপনার ভালো হবে।
২.বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিন। আপনি কি তাকে ফোনে কথা বললে, মেইলে, চিঠি লিখে নাকি সরাসরি দেখা করতে চান? আপনার জন্য ভালো উপায়টিই বেছে নিন।
৩. তার সাথে কথা বলার সময় ধিরস্থির থাকুন। এটি খুব কঠিন তবে তা করার জন্য প্রয়োজনে কয়েক দিন বাসায় শান্ত মেজাজে থাকুন। আপনি যদি চিঠি বা মেইলে জানাতে চান তবে বারবার বিষয়টি লিখুন যে পর্যন্ত না আপনার মনমতো হয়।
৪. কথা বলতে চাইলে নিরপেক্ষভাবে বলুন। পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ভাবুন তৃতীয় কোন পক্ষের সাথে আপনি কথা বলছেন।
৫. চিঠিতে লিখে বা কথা বলার সময় নিজের দিকে খেয়াল রাখুন। তাকে দোষ দেয়ার চেয়ে নিজের কথাগুলো বলুন। এমন কোন প্রশ্ন করবেন না যার উত্তর আপনার জানা আছে।
৬. সে যদি আপনাকে সহযোগিতা না করে বা তার কথা আপনার পছন্দ না হলেও আপসেট হবেন না। সে তার খুশিমত যা ইচ্ছা তা করতে পারে এ ব্যাপারে; আপনি কিন্তু এসব করতে পারেন না। তবে আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার নিয়ন্ত্রণ যেন তার কাছে না যায় অর্থাৎ তার কথা বা কাজ যেন আপনাকে প্রভাবিত না করে।৭. আপনার সব চেষ্টা ভেস্তে গেলে আপনি ভুল করেছেন। না আপনি কাউকে কিছু করাতে জোর করতে পারেন না। সে যদি আপনার সাথে কথা বলতে না চায় এ ব্যাপারে আপনার কিছুই করার নেই।
টিপস এবং সতর্কীকরণ
১. আপনার স্বামীর প্রেমিকা আপনার পরিচিত, অপরিচিত, আপনার বন্ধুদের মধ্যে কেউ যেই হোন না কেন তার সাথে কথা বলা অবশ্যই প্রযোজন। নিরপেক্ষভাবে তৃতীয় পক্ষের সাথে কথা বলার মত তার সাথে কথা বলুন।
২.গালাগালি, চিৎকার চেচামেচি ইত্যাদি করবেন না। এটি আপনাকে সাময়িক স্বস্তি দিবে কিন্তু এতে সত্যিই কোন লাভ হয় না।