শীত মওসুমে নাকি বিয়েশাদি বেশী হয়। তবে গরমেও কম হয় না। আর বিয়ের পরে নব দম্পতিরা সময়টাকে উপভোগ করতে মধুচন্দ্রিমায় যান। মধুচন্দ্রিমা ব্যাপারটা সব সময়ই খুব স্পেশ্যাল। তা পুরুষ বা নারীর দুজনের কাছেই। অনেকের মনের মধ্যেই হানিমুন নিয়ে সুপ্ত অনেক বাসনা থাকে। অনেকেই স্বপ্ন বুনে ফেলেন ঠিক কী কী করবেন তারা। অনেকে আবার এসব নিয়ে ভাবেন না। বরং তারা বিশ্বাস, যখন যেটা, তখন সেটা। একেবারে স্রোতের ভাসা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হানিমুনের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আপনার চারিত্রিক গুণ। তাই বিয়ের পর সঙ্গীর কাছে নিজেকে তুলে ধরার জন্য হানিমুন ব্যাপারটা স্পেশ্যাল করতেই হবে। কিন্তু কীভাবে? এবার চলুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো-
আরও পড়ুন : গর্ভাবস্থায় যে কাজগুলো এড়িয়ে চলবেন
১) কারও ভালো লাগে পাহাড়, কারও আবার সমুদ্র। অনেকের আবার জঙ্গল। হানিমুন যেহেতু দুজনের তাই গুরুত্ব দেওয়া উচিত দুজনের ইচ্ছাকেই। তাই আগে মিলিয়ে নিন সেই ইচ্ছা। তারপর বেরিয়ে পড়ুন।
২) হানিমুন স্পেশ্যাল শপিং কিন্তু করতেই হবে। কিনে ফেলুন স্টাইলিশ পোশাক। কারণ, মধুচন্দ্রিমায় এগুলো কিন্তু আগুনে বারুদের কাজ করবে। পাহাড়ে গেলে সুন্দর একটা শোয়েটার আর সমুদ্রে গেলে সুন্দর একটা শর্টস কিনতেই পারেন। আর পুরুষেরা স্ত্রীয়ের জন্য কিনে ফেলুন বিকিনি! সমুদ্রের ধারে গেলে এটা অবশ্যই কাজে লাগবে।
৩) লাগেজ গোছানোর ব্যাপারে দুজন দুজনকে সাহায্য করুন। এ ব্যাপারে পুরুষেরা একটু এগিয়ে গিয়ে স্ত্রীকে সাহায্য করুন। এতে আপনার কেয়ারিং নেচার ধরা পড়বে। স্বামীর থেকে লুকিয়ে একটা স্পেশ্যাল গিফট কিনে লাগাজে ঢুকিয়ে নিন। হানিমুনে গিয়ে ঘরের ভেতর সারপ্রাইজ দিন তাকে।
৪) হানিমুন ব্যাপারটা একটু ধীর গতিতে সেরে ফেলুন। টুর প্ল্যান এমনভাবে করুন, যাতে তাড়াহুড়ো না থাকে। দরকার পড়লে গোটা একটা দিন হোটেল রুমেই সময় কাটান। কখনও বিছানায়, কখনও রুমের বারান্দায়। শরীরে থাকুক অল্প বস্ত্র! রোম্যান্স কিন্তু জমে যাবে। পাহাড়ে গেলে একই কম্বলের নিচে দুজনে শরীর ঢেকে নিন। কুয়াশা মাখা বারান্দায় বসে ঠোঁটে ঠোঁট রাখুন। হানিমুন জমে ক্ষীর।
আরও পড়ুন : শীতে মধু খাওয়ার ৪ উপকারিতা
৫) ক্যামেরা নিতে ভুলবেন না। আজকাল অবশ্য ফোনের সঙ্গে দুর্দান্ত ক্যামেরা থাকেই। প্রতিটি মুহূর্তকেই ক্যামেরায় বন্দি করুন। হানিমুন থেকে ফিরে সেরাগুলো ফ্রেম করুন।
৬) মেয়েরা শপিং করতে খুবই ভালোবাসেন। পুরষেরা হানিমুনে গিয়ে একেবারেই মেয়েদের এ ব্যাপারে বাধা দেবেন না। উল্টো সাহায্য করুন। জিনিস পছন্দ করুন দুজনে একসঙ্গে মিলে।
শেষমেশ, নিজের মতো গুছিয়ে নিন আপনার মধুচন্দ্রিমার প্ল্যান। চেষ্টা করুন এমন কিছু না করতে যাতে স্মৃতিটা তিক্ত হয়ে যায়। আপনার মধুচন্দ্রিমা হোক মধুর মতোই মিষ্টি।
ইবাংলা/এএমখান/২৯ নভেম্বর, ২০২১