লালমনিরহাটে ভোট কেন্দ্রের টয়লেটে মিললো নৌকায় সিল মারা ২০টি ব্যালট পেপার। সংবাদ সম্মেলন করে নৌকায় সিল মারা ব্যালটগুলো প্রদর্শন করেন মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যালটগুলো প্রদর্শন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চন্দ্রপুর ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তার দাবি, টয়লেটে রাখা এসব ব্যালট নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমানের।
অপরদিকে, চন্দ্রপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমানের দাবি, প্রতিপক্ষ নৌকার ভোট কমাতে গণনার সময় ব্যালটগুলো চুরি করে বাইরে ফেলে দিয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দোষারোপের খেলা চলছে।
এর আগে, গত রবিবার (২৭ নভেম্বর) ইউপি নির্বাচনে চন্দ্রপুর ইউনিয়নে দুই প্রার্থী ৯ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে সমান অবস্থানে রয়েছেন। ফলে ওই ইউনিয়নের নির্বাচনী ফলাফল স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকরা নৌকায় সিল মারা কিছু ব্যালট ওই ইউনিয়নের গোসাইরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের টয়লেটে ফেলে রাখে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে স্থানীয়রা ২০টি ভুয়া ব্যালট উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, এসব নৌকার কর্মীরা ভোট বাক্সে রাখার সময় না পেয়ে ফেলে রেখেছে। এভাবে ভুয়া ব্যালট দিয়ে নৌকার ভোট বাড়িয়ে সমান অবস্থানের ফলাফল তৈরি করে ফলাফল স্থগিত করা হয়। তাই আমি পুনরায় ভোট দাবি করছি।
এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমান বলেন, স্থানীয় সমর্থকদের মাধ্যমে নৌকায় সিল মারা ব্যালটের বিষয়ে শুনেছি। এসব ব্যালট তাদের কাছে কেন? এটা তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করার কথা। তারা নৌকার ভোট কমাতে ব্যালট চুরি করেছে। তাদের কাছে থাকা ব্যালটগুলো উদ্ধার করে গণনায় সম্পৃক্ত করতে প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছি। আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।
ইবাংলা /টিআর /৩০ নভেম্বর ২০২১