কালকিনি হানাদার মুক্ত দিবস আজ

জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর 

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনি শত্রু মুক্ত দিবস। এই দিনে কালকিনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পাকবাহিনীকে পরাজিত করেন।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আলোচনা সভা ও র‌্যালিসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, এ দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে এ উপজেলা ছিল পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদরদের হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত।

উপজেলা হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯ মাস উপজেলার বিভিন্নস্থানে হানাদার বাহিনীর সাথে কয়েকটি মুখোমুখী যুদ্ধসহ ১৫টি দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। উপজেলার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু লালপোল পাকহানাদার বাহিনীর শক্ত ঘাটিতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা চালায়। পরে পাক হানাদাররা দিশেহারা হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় এবং পাক হানাদার বাহিনীর দখলে থাকা উপজেলার করিমগঞ্জ বাজার ঘাটি গুড়িয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। সেদিনই কালকিনিকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়।

এখানকার রাজাকার-আলবদরদের বিচার শুরু করে পাপমোচন করার দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের। বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিদ মোল্লা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এত বছর পরেও এখানকার রাজাকার আলবদরদের বিচার শুরু হয়নি।

কালকিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. মালেক হাওলাদার বলেন, কালকিনি শত্রু মুক্ত হলেও পাশের জেলা বরিশালের গৌরনদীর এলাকায় ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও আটকে পরা পাকবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ২২ দিন যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধেও অংশ গ্রহণ করেন মাদারীপুর ও কালকিনির মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধা মজিদ মোল্লা বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছি। এ কারণে আমরা একটি স্বাধীন দেশ উপহার পেয়েছি।

ইবাংলা / টিআর/৮ ডিসেম্বর ২০২১

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বরউপজেলা নির্বাহী অফিসারমাদারীপুর
Comments (0)
Add Comment