দেশে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচআইভি ভাইরাসে সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৬১ জন মানুষ। আর এসময়ে মরণব্যাধী এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৫৮৮ জন। এর মধ্যে কেবল এই চলতি বছরেই সালেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৯ জন। শুধু মাত্র ২০২১ সালে এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৫ জন।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউসের আয়োজনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে আইসিডিডিআরবি।
দি গ্লোবাল ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত প্রাযোরাটাইজড এইচআইভি প্রিভেনশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সার্ভিসেস ফর কি পপুলেশন ইন বাংলাদেশ নামক প্রকল্পের আওতায় সচেতনতামূলক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অথিতি ছিলেন রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার।
সভায় এইচআইভি এইডস বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিস্থিতি, গ্লোবাল ফান্ড প্রকল্প পরিচিতি লাইট হাউস রাজশাহী ডিআইসির লক্ষ্য ও অর্জনসহ ডিআইসির সেবা এবং কার্যক্রম তুলে ধরেন- ডিআইসি ম্যানেজার মো. কবির হুসাইন। মুক্ত আলোচনায় ঈমাম, চিকিৎসক, অ্যাডভোকেট, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, সিবিও লিডার অংশ নেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশের ১১টি হাসপাতালে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেখানে রোগী আসছে না। এইচআইভিতে আক্রান্তের ৮৪ শতাংশের বয়স ১৯ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ শিরায় মাদক গ্রহণের কারণে এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর মধ্যে নারী যৌনকর্মী, হিজড়া ও সমকামীর তুলনায় শিরায় মাদক গ্রহণকারীরা অনেক গুণ বেশি ঝুঁকিতে। তবে অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এইচআইভিতে সংক্রমণের হারও বেশি।
ইবাংলা /টিআর /৯ ডিসেম্বর ২০২১