ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে – সেটি এখনো বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা। তবে লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া এক ব্রিফিংয়ে বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লঞ্চের এক যাত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে হঠাৎ লঞ্চের ইঞ্চিনরুমের দিকে থেকে আগুন দেখতে পান তারা।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর)দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০। লঞ্চটি রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছে পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা।
ইবাংলা / নাঈম/ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১