আগুনের সঙ্গে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ। শরীরেও আগুন। দিশেহারা সবাই দিগ্বিদিক ছোটাছুটি। জীবন বাঁচাতে কী করবেন? যাওয়ার কোনে পথ নেই। উপায় একমাত্র নদীতে ঝাঁপ দেওয়া। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে শীতের গভীর রাতে বহু মানুষই ঝাঁপ দেন। তাদের অনেকে বেঁচে ফিরেছেন। এখন হাসপাতালে ভর্তি।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদমাধ্যমকে তাদের কয়েকজন এমন পরিস্থিতির কথা জানান। তারা আরও জানান, অনেকে পদদলিত হয়ে আহত হন। যে যেভাবে পেরেছেন আত্মরক্ষার চেষ্টা চালিয়েছেন। প্রাণে বাঁচাতে অনেকেই স্বজনদের রেখে নদীতে ঝাঁপ দেন। কয়েকজনকে শরীরে আগুন নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন তারা।
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে আগুন লাগে। লঞ্চটি রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছে পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা।
ইবাংলা / নাঈম/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১