বানান ভুলের ক্ষমা চেয়েছে আয়োজকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের আয়োজনে বানান ভুলের জন্য তুমুল সমালোচনার মুখে আয়োজকরা ক্ষমা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। যেহেতু ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, আর কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে না।

শনিবার (২৫ ডিসম্বর) ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এক প্রস্তুতি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। বিজয়ের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন বাংলাদেশের জাতির পিতা। তার ফেরার দিনটি ৫০ বছর ধরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের আয়োজনে ১৬ ডিসেম্বর দেশবাসীকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করান, সেখানে ‘মুজিববর্ষ’ লেখায় ছিল ভুল।

সেখানে ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ’-এর পরিবর্তে লেখা ছিল ‘সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষের শপথ’, অর্থাৎ একটি ‘ব’ সেখানে নেই; যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এরপর আয়োজকদের পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুরো বিষয়টি হয়েছে কারিগরি ত্রুটির কারণে।

শেখ সেলিম বলেন, ‘যে বিষয়টা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা গত মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। উদযাপন কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। একটা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ভুল, আর একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ ব্যাপারে, এটা যে ভুল হইছে সে ব্যাপারে নাসের সাহেব উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, তিনি ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

‘যেহেতু ভুল স্বীকার করেছেন, সেখানে আর কার্যকর কী ব্যবস্থা হবে, এটা ভুলের জন্য তো তারা ক্ষমা চাইছে।’

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, প্রতিবার যে কর্মসূচি থাকবে, তা-ই থাকবে। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম হলো বঙ্গবন্ধু যেখানে শুয়ে আছেন টুঙ্গিপাড়ায়, সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা অনুষ্ঠান করব।

‘সেখানে দেশের বুদ্ধিজীবী, দলের নেতারা ও সুশীল সমাজের মানুষ নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, কবিতাসহ আনুষঙ্গিক যত কিছু আছে সেগুলো হবে। সেখানে সুন্দরভাবে এই বিষয়গুলো আমরা করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘এই কর্মসূচিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। উনি ওখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ও দোয়া করবেন।’

শেখ সেলিম জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্কুলে আওয়ামী লীগ ১১ ও ১২ জানুয়ারি আলোচনা সভা করবে। ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি মেলা হবে। যে মেলায় সারা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। যার আয়োজন করবে শিল্পকলা একাডেমি।

ইবাংলা /টিআর /২৫ ডিসেম্বর

মুজিববর্ষেরসুবর্ণজয়ন্তীস্বাধীনতা
Comments (0)
Add Comment