কক্সবাজারে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. আশিককে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারি পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, ঘটনার পর আশিক কক্সবাজার থেকে মাদারীপুরে এসে আত্মগোপন করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর এক ব্যক্তি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তার স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় আশিকসহ ৭জনকে আসামি করা হয়। স্বামী ও সন্তানকে জিম্মি করে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই নারী বলেছেন, আশিকের নেতৃত্বে তিনজন প্রথমে ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর তার স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইনে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। চায়ের দোকান থেকে তাকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে হোটেলে নিয়ে যান আশিক।
বর্তমানে ওই নারী ও তার স্বামী-সন্তান ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে আছেন। চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণের ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের স্বামী।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- আশিকুর রহমান ও তার তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
টুরিস্ট পুলিশকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করে র্যাব। এদের মধ্যে প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ইয়াবা অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইস্রাফিল খোদা জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।
ইবাংলা / এইচ/ ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১