নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি নাগরিক সেবা ও নাগরিকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই এই নির্বাচনে নেমেছি। নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে জনদুর্ভোগ কমানো। হোল্ডিং ট্যাক্স পানির ট্যাক্স কমানো হবে। ট্রেড লাইসেন্সও পূর্বের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ১ নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ পৌঁছালে সেখানে তাকে দেখে জনতার ঢল নামে। দীর্ঘদিনের ঘরোয়া বিবাদে লিপ্ত থাকা সকল বলয়ের বিএনপি নেতারা একাট্টা হয়ে তার পক্ষে মাঠে নামেন।
তৈমূর বলেন, একটা নিরাপদ নগরী গড়তে হবে। শাবল পড়ে মানুষ মারা যাবে, রেলগেইট ভেঙে যানজটে মানুষ মারা যাবে, সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ মারা যাবে, যানজট হবে, শব্দ দূষণ হবে, এসব থাকবে না। জলাবদ্ধতা শেষ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ইচ্ছা করে তাহলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশের একমাত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী হবে না এটা নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার উপর।
তিনি আরো বলেন, আমার পা খুব শক্ত। আমি নিজের পায়েই গত পঞ্চাশ বছর যাবৎ বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে হেঁটে চলছি। আমি শংকিত নই। কারণ জনগণ আমার পাশে আছে। আমি কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চাই না। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।
বিএনপির এত বড় র্যালি করেছে, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সেখানে যাইনি। অথচ আমার অভিযোগ দেয়ার পরেও তারা আওয়ামী লীগের সমাবেশ বন্ধ করেনি। সেখানে প্রতীকসহ সমাবেশ হয়েছে। আমি শংকিত যে তারা আমাদের সাথে দ্বিমুখী আচরণ করছে।
আইভীর ব্যাপারে তিনি বলেন, সে (আইভী) অবশ্যই আমাকে চাচা বলবে আমি তাকে ভাতিজী বলি এতে কোন সন্দেহ নেই। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে।
ইবাংলা /টিআর /২৯ ডিসেম্বর