দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে তার। পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৬ পেয়েছে সে। কিন্তু আনন্দের ছিটেফোঁটাও নেই কিশোরীর মুখে। কারণ একটু পরেই তার বিয়ে।
রেজাল্ট প্রকাশের রাতেই বসে বিয়ের আসর। কনে সেজে বসে ছিল কিশোরী। বরপক্ষও হাজির। খাওয়াদাওয়া শেষ করেই হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এমন সময় ‘দাওয়াত না পেয়েও’ হাজির এসি ল্যান্ড। আর তাতেই বাল্যবিয়ে থেকে মুক্তি মেলে ওই মেধাবী কিশোরীর।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে নন্দীগ্রাম পৌরসভার কচুগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কারিগরি শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৫৬ পেয়েছে এই বাল্যকনে।
বিয়ের আসরে বরের বাবাকে আট হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। একই সঙ্গে মেয়ের অভিভাবকদের কাছ থেকে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ে করাবেন না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার নিনগ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে মিন্টু মিয়ার (২৪) সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ে ঠিক করেন তার অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বরযাত্রীও এসে হাজির হয় কনের বাড়িতে। এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম পুলিশ সঙ্গে নিয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির হন। এতে ভেস্তে যায় বিয়ের আয়োজন।
নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘১৮ বছরের আগে কোনো মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।’
ইবাংলা/ এইচ/ ০১ জানুয়ারি, ২০২২