ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য রাঙামাটি শহরও বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। সোমবার সকালে নো-ওয়ার্ক, নো-ক্লাস কর্মসূচির পর দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাধারণ মানুষ শহরের দোয়েল চত্ত্বরে মিলিত হয়ে সমাবেশ করেছে।
সেখানে প্রতিবাদকারীরা ইসরায়েল ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে নানান শ্লোগান দেয়। এসময় বক্তারা আরব বিশ্বের নেতাদের নীরবতার সমালোচনা করেন এবং ইসরায়েলী পণ্য বয়কটের আহবান জানিয়েছেন।
এরআগে জোহরের নামাজের পর শহরের তিনটি প্রধান এলাকা রিজার্ভ বাজার, বনরূপা, ও তবলছড়ি হতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র দোয়েল চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামী ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন ইসলামিক দলের সংহতি প্রকাশ করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পুরাতন বাস স্টেশন মসজিদের খতিব এম এ মোস্তফা হেজাজী, আমানতবাগ জামে মসজিদের খতিব মোঃ আখতার হোসেন চৌধুরী, তবলছড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শরীয়তুল্লাহ, জাতীয় ইমাম সমিতি রাঙ্গামাটির সভাপতি এ বি এম তোফায়েল, জাতীয় ওলামা মশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবু হাশেম, ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদসহ ওলামায়ে ক্বেরামবৃন্দ।
আরও পড়ুন…ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ
এর আগে দুপুরে গণহত্যার প্রতিবাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে শহরের রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত রাঙামাটি জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা এম এ মুস্তফা হেজাজী।
এছাড়াও জেলার কাউখালী, কাপ্তাই, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
এছাড়া সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে রাঙামাটির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, গাঁজায় যুদ্ধ বিরতি ভঙ্গ করে ইজরাইলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটি। পৌর জামায়াতের আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।