দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ায় দু’টি অবৈধ সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির আরাউকা প্রদেশে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দিয়াগো মোলানো এই তথ্য জানান।
ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) এবং রেভ্যুলেশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া (ফার্ক)-র ভিন্নমতাবলম্বী সদস্যরা গত রোববার থেকে আরাউকা প্রদেশে একে অপরের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষেই এখন পর্যন্ত ২৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ।
এদিকে এক বিবৃতিতে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মাদক চোরাচালানসহ অবৈধ আর্থিক ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একে অপরের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই করছে বিবদমান ওই দু’টি গ্রুপ। এছাড়া কলম্বিয়ার মানবাধিকার প্রধান জানিয়েছেন, সংঘর্ষের কারণে ১২টি পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এদিকে বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) আমেরিকা অঞ্চলের সিনিয়র ইনভেস্টিগেটর জুয়ান প্যাপিয়ার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, সংঘর্ষের কারণে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের প্রাণহানির তথ্য পেয়েছে এইচআরডব্লিউ। এছাড়া সংঘর্ষপীড়িত অঞ্চলে সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার এবং অপহরণের মতো ঘটনাও ঘটছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কলম্বিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী রেভ্যুলেশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) সঙ্গে দেশটির সরকারের একটি শান্তি চুক্তি হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফার্ককে ভেঙে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ দশক ধরে চলা একটি রক্তাক্ত অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়। শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দীর্ঘ ৫২ বছরের এই সশস্ত্র সংঘাতে আনুমানিক ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ।
ইবাংলা / টিপি/ ৪ জানুয়ারি