ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌপরিবহন অধিদফতরের মামলায় লঞ্চের ৩ মালিককে গ্রেফতার দেখানোর জন্য কারাগার থেকে নৌ আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের আগামী ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) নৌ-আদালতের বিচারক বিশেষ মহানগর হাকিম জয়নাব বেগম এই আদেশ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৌপরিবহন অধিদফতরের প্রসিকিউটিং কর্মকর্তা বেল্লাল হোসাইন জানান। তিন আসামি হলেন- হামজালাল শেখ (৫৫), মো. শামীম আহমেদ (৪৩) ও মো. রাসেল আহম্মেদ (৪৩)। বর্তমানে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে।
বেল্লাল হোসাইন বলেন, ওই তিনজনকে নৌপরিবহন অধিদফতরের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য নৌ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
লঞ্চের দুই চালক মো. মাসুম বিল্লাহ ও আবুল কালাম রোববার নৌ-আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিশেষ মহানগর হাকিম জয়নাব বেগম তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান আত্মসমর্পণ করলে তাদেরও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় একই আদালত।
২৩ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বরগুনায় যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় অভিযান-১০। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। ওই ঘটনার পর সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে ২৬ ডিসেম্বর আট জনকে আসামি করে মতিঝিলের নৌ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধিত ২০০৫) এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসব ধারায় আসামিদের সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
ইবাংলা / টিআর /৪ জানুয়ারী