চীনে রোগীর চিকিৎসা না করার অভিযোগ ওঠায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করেছে সরকার।বেশিরভাগ শহরে লকডাউন থাকায় বর্তমানে দেশটিতে কমেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ঠিক এই সময় হাসপাতালগুলোকে রোগী না ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী সান চুলান।শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
চীনের সিয়ান প্রদেশে সংক্রমণ বেশি হওয়ায় টানা ১৬ দিন ধরে সেখানে লকডাউন চলছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে লকডাউনের সময় মানুষ খাবার, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত অবস্থায় এক গর্ভবতী নারীর গর্ভপাতের ঘটনা ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই নারী দুই ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার পৌর কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ‘লজ্জিত’ চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী সান চুলান। তিনি বলেন, সিয়ানের হাসপাতালগুলোতে মানুষ যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন, এতে তিনি শোকাহত। পাশাপাশি কোনো রোগীর চিকিৎসা না করলে হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষে চীনে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বেইজিং এবং হেবেই প্রদেশে ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ থেকে শুরু হবে এই ক্রীড়া উৎসব। আর এর দুই সপ্তাহ পরে চীনে চন্দ্র নববর্ষ শুরু হবে।
ইবাংলা / নাঈম/ ০৭ জানুয়ারি, ২০২২