‘যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা অযৌক্তিক’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ‘যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা অযৌক্তিক ও অকার্যকর’ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তারপরও জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সব কিছু বিবেচনা করে আমাদের সমাবেশগুলোর তারিখ পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে পূর্বনির্ধারিত ৩২টি সভা-সমাবেশ নতুনভাবে পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি । তবে, পুনর্নির্ধারিত তারিখ কবে হবে, তা জানানো হয়নি। আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল এ সব সভা-সামবেশ। বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

আমরা বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দকে পুনর্নির্ধারিত তারিখে সভা-সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যেখানে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন যে, উন্মুক্ত স্থানে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম, বদ্ধ স্থানে বেশি। সেখানে সরকার বদ্ধ স্থানে অনুমতি দেয়, উন্মুক্ত স্থানে দেয় না।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে পারে, হাটবাজার, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ—সব খোলা থাকতে পারে। অথচ বিধিনিষেধ সভা-সামাবেশ হতে পারে না।’

বিএনপির এ নেতা বলেন,‘ মূল উদ্দেশ্যটা হলো, আমাদের আন্দোলনের যে কর্মসূচি চলছিল, সেটাকে তারা প্রথমে নানাভাবে শক্তিপ্রয়োগ করে, ১৪৪ ধারা জারি করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সমাবেশের জন্য ১৫ দিন আগে অনুমতি চাইলে দুদিন আগে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গণতন্ত্রকে হরণের সব কাজই করছে তারা।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘একদিকে, ১১ দফা একটা সরকারি নির্দেশনা আছে। অপরদিকে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ আরও আরও অনেক কাজ উন্মুক্ত আছে। সরকারের বিধিনিষেধের সিদ্ধান্তের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠান সাংঘর্ষিক।’

তিনি বলেন, ‘এটা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তার ব্যাপারে সন্দেহ থাকার আর কোনো কারণ নেই।’ স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে, ডয়চে ভেলের একটা সার্ভে (জরিপ) হয়েছে। সে সার্ভেতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, এটা কি সরকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য করেছে, না-কি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য করেছে।

সে সার্ভেতে ৮৮ শতাংশ মানুষ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য হওয়ার পক্ষেই রায় দিয়েছে। এ সার্ভেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

ইবাংলা /  টিআর / ১৪ জানুয়ারি

করোনাভাইরাসেরসংক্রমণ বৃদ্ধিসভা-সমাবেশ
Comments (0)
Add Comment