দক্ষিণ প্রশান্ত অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় সমুদ্রের ভেতরের একটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাতন শুরু হয়েছে। এ কারণে দেশটির ১৭০ টি দ্বীপের অধিকাংশেই জারি করা হয়েছে সুনামির সতর্কতা।
শনিবার ( ১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে টোঙ্গার প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দৈনিক নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সক্রিয় হয়েছে দেশটির আগ্নেয় পর্বত হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই। অগ্নুৎপাতের প্রভাবে সাগরে বিপজ্জনক রকমের বড় বড় ঢেউ দেখা দিয়েছে। আগ্নেয়গিরি জালামুখ থেকে নির্গত ছাই, গ্যাস ও ধোঁয়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত উঁচুতে উঠেছে। রাজধানী নুকুয়ালোফায় গত প্রায় দুই দিন ধরে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে আগ্নেয়গিরির ছাই।
টোঙ্গার ফনুয়াফু দ্বীপের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিন-পশ্চিমে সাগরে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছে আগ্নেয় পর্বত হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই। ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথম সক্রিয় হয় এই আগ্নেয়গিরিটি, কিন্তু আশঙ্কাজনক কোনো পরিস্থিতি তখন তৈরি হয়নি। তারপর ১১ জানুয়ারি ঠাণ্ডা হয়ে যায় জ্বালামুখ।
কিন্তু তার দু’দিনের মধ্যেই – ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের জেগে ওঠে হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই। আর সেই ‘জাগরণের’ মাত্রা এতই তীব্র যে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ফিজি থেকেও শোনা গেছে অগ্নুৎপাতের শব্দ। শুক্রবার টোঙ্গার বেশ কয়েকজন ভূতাত্ত্বিক ওই পর্বতের আশ-পাশের এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
টোঙ্গার ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী তানিয়েলা কুলা, ‘আগ্নেয়গিরি ভয়াবহভাবে জেগে উঠেছে। ইতোমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভূতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য এটি আশীর্বাদ হলেও সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাপক আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে রাজধানীসহ টোঙ্গাজুড়েই সুনামি সতর্কতা জারির পর রাজধানীবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে টোঙ্গার তিন প্রতিবেশি দেশ ফিজি, স্যামোয়া ও নিউজিল্যান্ডে কোনো সতর্কতা এখন পর্যন্ত জারি করা হয়নি।
সূত্র: নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড
ইবাংলা / টিপি/ ১৫ জানুয়ারি