অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামির আঘাতে ‘বিপর্যস্ত’ দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানিসহ জরুরি মানবিক সাহায্য পাঠানো হয়েছে। জরুরি এ সাহায্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে দুটি উড়োজাহাজ টোঙ্গার পথে উড়াল দেয়।
গত শনিবার (১৫ জানুয়ারি) আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা, গ্যাস ও ছাইয়ের উদ্গীরণ শুরু হওয়ার পাঁচদিন পর দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধান বিমানবন্দর পরিষ্কার করে সচল করা হয়েছে। এর পরই জরুরি সাহায্য নিয়ে সেখানে জেল উড়োজাহাজ।
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, অকল্যান্ড থেকে সি-১৩০ হারকিউলিস মডেলের একটি উড়োজাহাজ রওনা হয়েছে, যেটি বিকেলে টোঙ্গার রাজধানী নুকুয়ালোফায় অবতরণ করবে। উড়োজাহাজটিতে বিশুদ্ধ পানির কন্টেইনার, অস্থায়ী ঘর তৈরির উপকরণ, জেনারেটর, হাইজিন পণ্য এবং যোগাযোগ স্থাপনের উপকরণ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার দুত্তান জানিয়েছেন, জরুরি প্রয়োজনীয় উপকরণের সঙ্গে বিমানবন্দরের ছাই পরিষ্কারের জন্য বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্সের একটি বিশেষ উড়োজাহাজ ব্রিসবেন থেকে রওনা হয়েছে। পরে আরও একটি যাবে।
গত ১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে সক্রিয় হওয়া শুরু করে টোঙ্গার আগ্নেয় পর্বত হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপেই। দুই দিন পর শনিবার থেকে শুরু হয় লাভা, গ্যাস ও ছাইয়ের উদ্গীরণ। আগ্নেয়গিরির সক্রিয় হয়ে ওঠা এবং এর ফলে সৃষ্ট ভূমিকম্পের প্রভাবে সাগরে সুনামি দেখা দেয়, যার ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে টোঙ্গার প্রায় সব দ্বীপ ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে পড়ে।
অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সাগরের তলদেশের একমাত্র ক্যাবল সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে টোঙ্গার যোগাযোগ গত কয়েকদিন বিচ্ছিন্ন থাকে। এর মধ্যে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) কিছু কিছু এলাকায় সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। তবে টোঙ্গায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরতে ঠিক কতোদিন সময় লাগবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
ইবাংলা/ টিপি/ ২০জানুয়ারি, ২০২২