পরাজিত প্রার্থীর সমর্থদের হামলায় ৩ পুলিশসহ আহত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময পুলিশের গাড়ীসহ ৪টি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বগাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পালং মডেল থানার পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৬ষ্ঠ ধাপে সোমবার শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হয়। ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচজন প্রার্থী ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থী সেলিম সরদারের (মোরগ মার্কার) সমর্থকরা বিজয় মিছিল বের করে। এ সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকরা বিজয় মিছিল লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় হামলা কারীরা ভোট কেন্দ্রের মাঠে থাকা পুলিশের দুটি, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের দুটি মোটরসাইকেল ও ভোটের মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি নিয়ে হামলা কারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
এ ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন (৪৭), কনস্টেবল মো. শরীফুজ্জামান (২৮), মামুন হোসেন(২৯) ও মো. এামুন, ছোরহাব হোসেন(৪৮), রফিক কাজী( ২৭)সহ ১০ আহত হন।
হামলাকারীরা ৪টি মোটরসাইকেল, একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে। আরেকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পানিতে ফেলে দেয়। প্রিসাইডিং অফিসার ইমাম হোসেন বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে সাড়ে ৯টায় অপর পরাজিত মেম্বার প্রার্থী দলিলউদ্দিন ধলু মাদবর (ঘুড়ি) ও আজিবর রহমান নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়াযায়নি।
প্রিসাইডিং অফিসার ইমাম হোসেন বলেন, ফলাফল ঘোষনা পর ভোট কেন্দ্র থেকে বিজয়ী প্রার্থী মিছিল বের করে। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত মিছিল লক্ষ্য ইট, পাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলাকারীরা ৪টি মোটরসাইকেল, একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে। আরেকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পানিতে ফেলে দেয়।
আহত কনস্টেবল মো. শরীফুজ্জামান বলেন, মোরগ মার্কার প্রার্থী সেলিম সরদার বিজয়ী হয়ে কেন্দ্রের মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন আমরা তিনজন আহত হই।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আক্তার হোসেন বলেন, চিকন্দি ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী হাফিজ উদ্দিনের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার পর থেকে হাফিজ খান পলাতক। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ২৫ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইবাংলা /এইচ / ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২