ফরিদপুরে প্রসবের সময় নবজাতকের কপাল কেটে ফেলার ঘটনায় ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলার আবেদন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুরের ১নং যুগ্ম জেলা জজ মো. নাসির উদ্দিনের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। আদলত এরই মধ্যে মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্ত নবজাতক মুসকান বিনতে শফি নিজে। এছাড়া তার বাবা শফি খান ও মা রুপা আক্তারও বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি শহরের বেসরকারি ক্লিনিকে বাচ্চা প্রসব করানোর সময় নবজাতকের কপাল কেটে ফেলে আয়া ও নার্স। এতে নবজাতকের কপালে ৯টি সেলাই দেয়া হয়। ওই সময়ে হাসপাতালে কোনো চিকিৎসকও উপস্থিত ছিলেন না।
অভিযোগ, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা প্রসূতি ওই মাকে নিয়ে গিয়েছিলেন আলমদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে। নবজাতকের কপাল কেটে ফেলার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে বন্ধ করে দেয়া হয় ওই হাসপাতাল। একই সাথে গ্রেফতার করা হয় দুই মালিক ও সেই আয়া এবং নার্সকে।
এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। ওই দিনই শিশুটিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মানিক মজুমদার জানান, বুধবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে এই মামলার আবেদন জানান বাদী। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। আগামী ৩ মার্চ আসামিদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই মামলায় মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে আছেন হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের ৪ জন এবং এই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ওই নার্স এবং আয়া। এই মামলার বাদী ওই নবজাতক নিজেই। কিন্তু নাবালিকা হওয়ায় ওই শিশুর পক্ষে তার বাবা-মা মামলার বাদী হিসেবে থাকবেন।
ইবাংলা/ এইচ/ ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২