আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় অস্ত্র ঠেকিয়ে রাজধানীতে রাতভর ঘটে চলছে একর পর এক ডাকাতির ঘটনা। কখনও বাস নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ড্রাইভার হেলপার-সুপারভাইজার সেজে যাত্রী তুলে বাসের ভেতরে ডাকাতি করে চলছে রাতভর। আবার কখনও প্রাইভেটকারে চরে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে রাস্তায় রাতের বেলা করে চলছে ডাকাতি।
এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। সূত্রমতে, গত ২৯ জানুয়ারি দুই ভারতীয় শিক্ষার্থীর অর্থ ডাকাতির অপরাধে ৭ জনকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আসে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৩ জানুয়ারি ভোর ৫টা ১০ মিনিটে রাজধানীর মৌচাকে দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী শাহিল আহমেদ ও আসিফ ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয় চার ডাকাত। শুধু তাই নয়, ওই রাতে একে একে ৪-৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে।
ওই রাতে মালিবাগে একই ঘটনা ঘটে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মাহমুদুর রহমান জেসানের সঙ্গেও। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, একটি সিলভার রঙের প্রাইভেটকার দাঁড়ায় তার পাশে। এরপরই অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নেওয়া হয় জেসানের সব কিছু।
সিসিক্যামেরার ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যে জানা গেছে, এর আগে একইভাবে ডাকাতি করে ধানমন্ডির ঝিগাতলা ও পল্টনে। যার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও এখন গোয়েন্দাদের হাতে। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ২৯ জানুয়ারি ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ওই প্রাইভেটকার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। এরপরই গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন অনেক ভুক্তভোগী।
এদিকে রাতে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পরও এমন ঘটনা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। এ বিষয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিজুল হক বলেন, কোথাও কোথাও তো সমস্যা হচ্ছেই, হয়তো আমাদের টহল যথাযথভাবে হচ্ছে না। আসলে কারও ওপর দায় না চাপিয়ে নগর নিরাপত্তার জন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
তবে অপরাধীরা যত কৌশলই হোক না কেন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকতা। উল্লেখ্য, গত একমাসে রাজধানীতে এমন ১০টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। সূত্র : আরটিভি
ইবাংলা/ ই/ ৪ ফেব্রুয়ারি,২০২২