সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি সব ধরনের সবজিও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানী উত্তরার আজমপুর কাঁচা বাজার, হাজী ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট কাঁচা বাজার, মালিবাগ বাজার, রামপুরা বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা।
মুরগির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জাফর আহমেদ বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম এক মাসের বেশি সময় ধরে কমছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির কেজি দুইশ টাকা হয়েছিল। এখন তা কমে দেড়শ টাকা হয়েছে। তবে আমাদের ধারণা আবার যেকোনো সময় দাম বেড়ে যেতে পারে।
রামপুরা বাজার থেকে মুরগি কেনা মো. মহাসিন বলেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি দেড়শ টাকা করে নিয়েছে। গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি কিনেছিলাম। সে হিসাবে কেজিতে দাম ১০ টাকা কমেছে। তবে আমাদের হিসেবে মুরগির দাম এখনো বেশি। মুরগির কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা থাকলে সেটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পাকা টমেটোর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। এর সঙ্গে বেড়েছে শিমের দাম। মানভেদে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৬০ টাকা। তবে আগের দামেই ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গাজর।
শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। শালগমের (ওল কপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এ দুটি সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাকের আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজি ও শাকের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সাইদুল মিয়া বলেন, কম দামে সবজি খাওয়ার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা কম। আমাদের ধারণা এখন দিন যত যাবে, সবজির দাম তত বাড়বে।
উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজারে রাকিবুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। চাল, তেল ও চিনির দাম শুনলে মাথা গরম হয়ে যায়। মাসের পর মাস সব ধরনের পণ্য অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।
এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।
ইবাংলা/ নাঈম/ ৪ফেব্রুয়ারি, ২০২২