শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় রাজিয়া বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি উপজেলার চরসেন্সাস ইউনিয়নের বালার বাজার এলাকার জাকির হোসেন মোল্যার স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার শিশুপুত্র শান্ত মোল্যার সামনেই তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে রেখে যায়।
একই গ্রামের ফারুক বালা, তার ছেলে পিয়াল বালা, স্ত্রী পারভিন আক্তারের বিরুদ্ধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে।
ভেদরগঞ্জের সখিপুর থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চরসেন্সাস বালার বাজার এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম। তিনি ১১ বছর বয়সী ছেলে শান্ত মোল্যাকে নিয়ে গ্রামে থাকতেন। আর জাকির হোসেন ঢাকায় টেইলারিং দোকান চালাতেন। তাদের গ্রামের ফারুক বালার সঙ্গে রাজিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহ করত ফারুকের স্ত্রী পারভিন আক্তার। এ নিয়ে পারভিন ও রাজিয়ার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রাজিয়ার বাড়িতে তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। এ সময় পারভিনের ছেলে পিয়াল ও তার স্বামী ফারুক সেখানে উপস্থিত হন। তারা তিনজনে মিলে রাজিয়াকে পেটাতে থাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিল তার (রাজিয়ার) শিশুপুত্র শান্ত মোল্যা। সে মাকে বাঁচাতে এলে তাকে দা নিয়ে তাড়া করা হয়। ওই শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
স্বজনরা রাজিয়াকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
রাজিয়া বেগমের স্বামী জাকির হোসেন মোল্যা বলেন, ফারুক বালা, তার ছেলে পিয়াল বালা, ফারুকের স্ত্রী পারভিন আক্তারসহ চার পাঁচজনে মিলে আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার শিশু সন্তানের সামনেই তাকে ওরা পিটিয়ে মেরে ফেলে রেখে গেছে। ছেলেটি সারা জীবন মায়ের হত্যার সাক্ষী হয়ে থাকবে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ঘটনার পর থেকে ফারুক বালা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রাম থেকে পালিয়েছে। তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হত্যার ঘটনাটি জানার পর অভিযুক্তদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তারা এলাকা থেকে পালিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
ইবাংলা/ এইচ/ ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২