টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় বাংলাদেশি দুই জেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি। এতে মো. ইলিয়াছ (৫০) নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলি থেকে পালিয়ে বেঁচে ফিরেছে অপর জেলে গোরা মিয়া (৩৫)। তিনিসহ স্থানীয় অনেকের ধারণা ইলিয়াছ গুলিবিদ্ধ হয়ে কোথাও রয়েছেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মাঝরাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল নাফ নদীর অঁসড্ডিয়া নামক স্থানে মাছ শিকারের সময় এ ঘটনা ঘটে। মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা বালুখালীর বিজিবি চেকপোস্ট সংলগ্ন মৃত ছৈয়দ আহমদ ও মৃত মতিউর রহমানের ছেলে।
পালিয়ে আসা গুরা মিয়া ও নিখোঁজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় লম্বাবিল এলাকা থেকে জীবিকার তাগিদে নাফ নদীতে মাছ শিকারে যান তারা। রাত ১১ টার দিকে বিজিপি তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে দুইজন দু’দিকে পালিয়ে যায়।
গুরা মিয়া বলেন, মিয়ানমার পুলিশ বেশ কিছুক্ষণ গুলি চালায়। প্রাণ বাঁচাতে আমি ভয়ে প্যারাবনে সারারাত আত্মগোপনে থাকি। সকাল হলে কোনোরকমে এলাকায় ফিরে আসি। গুরা মিয়ার ধারণা ইলিয়াছ গুলিবিদ্ধ হতে পারেন।’
নিখোঁজ জেলের ছেলে মো. তারেক বলেন, তারা দু’জনই মাছ শিকারে যান। একজন প্রাণ নিয়ে ফিরে আসলেও আমার পিতা ফেরেননি। অনেকে নানা রকম কথা বলছে, কেউ বলেছে মৃতদেহ ভাসছে, আর কেউ বলে মৃতদেহ বিজিপির কাছে রয়েছে। তিনি তার পিতার জীবিত বা মৃতদেহ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক এসআই জায়েদ হাসান জানান, দুই জেলে মাছ শিকারে গিয়ে ইলিয়াছ নামের এক জেলে নিঁখোজ রয়েছে বলে বিভিন্নভাবে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, আমার বিষয়টি জেনেই কাজ করছি। এ রিপোর্ট লেখা অবধি ইলিয়াছের জীবিত বা মৃত খোঁজ মেলেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গা ও মাদক প্রবেশ বন্ধ করতে সাগরে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু মাকের চালান প্রবেশ থামেনি। নাফ নদী নির্ভর ১০ হাজারের বেশি জেলের মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে অনেকে গোপনে মাছ শিকারে যান। তাদের দাবি মাদক আগের চেয়ে বেশি প্রবেশ করছে। অহেতুক জেলেদের কষ্ট দেয়া হচ্ছে। সূত্র : আরটিভি অনলাইন
ইবাংলা/ ই/ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২