বরগুনার বামনার গোলাঘাটায় দখল হয়ে যাওয়া নিজেদের জমি-জমা ও বশত ঘর ফিরে পেতে শহরে কাফনের কাপড় পড়ে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে তিন বোন। নিজেদের বশত ঘর ও জমি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন তারা। এরপরে আজ বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেছেন বরগুনা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চত্বরে অনশনে বসেন তারা। এরা হলেন, বামনার গোলাঘাটা গ্রামের মৃত আবদুল রশীদের মেয়ে রুবি আক্তার (২৭) , জেসমিন আক্তার (১৮) ও মোসাঃ রোজিনা (১৬)।
জানা যায়, মা-বাবা মারা যাওয়ার পর ছোট দুই বোনকে নিয়ে চট্রগ্রামে চলে যান রুবি। সেখানে একটি পোষাক কারখানায় চাকরি করে দুই বোনকে লেখা-পড়া করান রুবি। এর কয়েক বছর পর ২০১৯ সালে নিজ বাড়িতে ফিরে দেখেন তাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে নিয়েছেন এলাকার প্রভাবশালীরা। এমনকি তাদেরকে বশত ঘর থেকেও বের করে দেয়া হয়। এরপর থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
তিন বোনের মধ্যে বড় বোন রুপি আক্তার বলেন, মা বাবা মারা যাওয়ার পর একমাত্র ভাইও মারা যায়। আমার ছোট বোনেরা দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় থেকে লেখাপড়া করত। তিন বছর আগে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমাদের বাবার সকল সম্পত্তি আমার চাচারা এলাকার প্রভাবশালীদের জোগসাজসে দখল করে।
আমরা জমি বুঝে পেতে চাইলে তারা বলে আমাদের জমি নাকি নিলামে তারা কিনে নিয়েছেন। পরে উপজেলা ভুমি অফিসে গিয়ে জানতে পারি এজমির কোন নিলাম হয়নি।
রুবি আরও বলেন, বিষয়টি ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, ও ডিসিকে জানালেও তারা আমাদের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি৷ তাই বাধ্য হয়ে অনশনে বসতে হয়েছে। আমাদের দাবি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ না পাওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে। তবে, এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি তাদেরকে আমার অফিসে ডাকলেও তারা আসেনি৷ পরে আমি নিজে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা আমার সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায়।
ইবাংলা/ জেএন/ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২