মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরুদ্দির চর গ্রামে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ ঘর থেকে জহিরুল সরদার (১৬) নামে যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত জহিরুল সরদার কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের ছেলে। তিনি সমিতিরহাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরুদ্দির চর গ্রামের বারেক সরদার দীর্ঘদিন থেকে কাতারে অবস্থান করছেন। তার অবর্তমানে বাড়িতে স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৪০) ও নিহত জহিরুল বসবাস করতেন।
সকালে জহিরুল ঘুম থেকে না উঠার কারনে খুঁজতে যায় তার চাচাত ভাই সবুজ সরদার। এসময় সারা শব্দ না পেয়ে সবুজ শয়ন কক্ষে গিয়ে জহিরুলের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ নিহত জহিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাদল বিশ্বাসের (৫০) সাথে কোহিনুর বেগমের ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ ছিলো। এই সম্পর্কের জের ধরে পারিবারিকভাবে কয়েকদিন আগে শালিস মিমাংসাও বসেছিল পরিবারের লোকজন।
এছাড়াও বাদল মেম্বারের স্ত্রী একবার প্রকাশ্যে অপমানও করেছিল কোহিনুরকে। এসব বিষয় নিয়ে কোহিনুরের সাথে ছেলে জহিরুলের সম্পর্কে অবনতি ছিলো। স্থানীয়দের ধানরা এই অনৈতিক সম্পর্কে জের ধরেই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, জহিরুল ইসলাম সরদার একটি তিন রুমের বিল্ডিংয়ের এক রুমে থাকতো। প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। সকালে তার কোন শব্দ না পেয়ে পরে ঘরের ভিতরে গিয়ে জহিরুলের কম্বল দিয়ে ঢাকা মৃতদেহ দেখতে পায়।
ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে নিহতের মা কোহিনুর বেগম দাবী করেছেন, ‘তার ছেলেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের তেমন কোন শত্রু নেই। তিনি হত্যাকারীদের শাস্তির দাবী করেছেন।’
মাদারীপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মারমা বলেন, ঘটনার পর পর পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তেন পরে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ হত্যাকান্ডের কারন উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।
ইবাংলা/ ই/ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২