কেউ টিকা নেবেন কেউ নেবেন না, তা হবে না। নো টিকা, নো সার্ভিস। যারা টিকা নেবেন না তাদের ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশনের কোনো সেবা তারা পাবেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকার ঢাকা স্ট্যান্ডার্ড স্কুলে টিকা কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা টিকা নেবেন না তাদের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আগামী ১ মার্চ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। এর আগে যারা টিকা নেবেন না তাদের ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশনের কোনো সেবা তারা পাবেন না। আপনি নিজে টিকা নিন, অন্যদেরও টিকা নিতে বলুন। নো টিকা, নো সার্ভিস।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা। ছুটির দিনেও ডিএনসিসির সব কেন্দ্রে আমরা টিকা কার্যক্রমের জন্য খোলা রেখেছি। আগামীকাল (শনিবার) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৮৬টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা প্রদান করা হবে। টিকা নিতে কোনো টাকা লাগে না, শুধু দরকার আপনার সদিচ্ছা। প্রধানমন্ত্রীর উপহার টিকা হবে সবার।
সবাইকে টিকা নিতে হবে, কেউ টিকা নেবেন কেউ নেবেন না, তা হবে না মন্তব্য করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আপনি নিজে টিকা নিন এবং আপনার কর্মচারী, দারোয়ান, বুয়া, ড্রাইভার সবাইকে টিকা নিতে বলুন। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন নেই তারাও টিকা নিতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার মোবাইল নম্বর দিয়েই কোনো সমস্যা ছাড়াই আপনি টিকা নিতে পারবেন।
নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নের দিক তুলে ধরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ৬ মার্চ গণভবন থেকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নতুন এসব ওয়ার্ডগুলোর রাস্তার কাজের উদ্বোধন করবেন। ফলে টিকাও হবে, রাস্তাও হবে। সুন্দর একটি নগরী হবে আপনাদের জন্য।
ইবাংলা/এইচ / ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২