করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় সরাসরি হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও পশু কেনাবেচার ব্যবস্থা করে সরকার। এর ফলে অনলাইনে গত ১৯ দিনে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি পশু বিক্রি হয়েছে। ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকায় পশুগুলো বেচাকেনা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর গত ২ জুলাই থেকে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) পর্যন্ত অনলাইনে পশু বিক্রির হিসাব তুলে ধরে এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানায়, কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬৮টি। এর মধ্যে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে ৬০২টি আর বেসরকারি উদ্যোগে ১ হাজার ১৬৬টি। এসব অনলাইন বাজারে গত ১৯ দিনে ১৮ লাখ ১২ হাজার ২০২টি কোরবানিযোগ্য পশুর তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৮ হাজার ২৪৮টি গরু-মহিষ এবং ৪ হাজার ৭৯৪টি ছাগল-ভেড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০৬টি গরু-মহিষ এবং ২৫ হাজার ৮০৫টি ছাগল-ভেড়া, রাজশাহী বিভাগে ৩৬ হাজার ৫৫৫টি গরু-মহিষ এবং ২২ হাজার ৩৯৫টি ছাগল-ভেড়া,
খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৩৭৭টি গরু-মহিষ এবং ১০ হাজার ৫৮৪টি ছাগল-ভেড়া, বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ৬৬৬টি গরু-মহিষ এবং ৫৯৫টি ছাগল-ভেড়া, সিলেট বিভাগে ৫ হাজার ১৯৪টি গরু-মহিষ এবং ৯৫১টি ছাগল-ভেড়া,
রংপুর বিভাগে ৪১ হাজার ৯৯০টি গরু-মহিষ এবং ২৫ হাজার ৫৯২টি ছাগল-ভেড়া, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ হাজার ২৭৪টি গরু-মহিষ এবং ১৫৩টি ছাগল-ভেড়া অনলাইনে বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) দেবাশীষ দাশ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমরা অনলাইনের মাধ্যমেও পশু ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। গত ২ জুলাই থেকে অনলাইনে পশুর হাট শুরু হয়। আজ ২০ জুলাই পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৭ হাজার পশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। তবে শুরুর দিকে অনলাইনে পশু বেশি বিক্রি হলেও সরাসরি হাট শুরুর পর বিক্রি কিছুটা কমেছে।’
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছর মাঠ পর্যায়ের তথ্য অনুযায়ী ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার গরু-মহিষ, ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫ পশুসহ মোট ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি কোরবানিযােগ্য গবাদিপশু রয়েছে। ২০২০ সালে এর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে প্রায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু কোরবানি করা হয়েছিল।
গত ২ জুলাই থেকে জেলাভিত্তিক অ্যাপ, ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন অনলাইন সাইটের মাধ্যমে পশু বিক্রি শুরুর উদ্যোগ নেয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। আর ৪ জুলাই ডিজিটাল হাট নামে আরেকটি প্ল্যাটফর্মও উদ্বোধন করা হয়।
ইবাংলা/আরআরসি/ ২০ জুলাই, ২০২১