উৎসবমুখর পরিবেশে দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের এক কোটি টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দেশের ২৮ হাজার কেন্দ্রে সকাল থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। আজকের কার্যক্রমের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখিয়ে কিংবা মোবাইল নম্বরের মাধ্যমেও টিকা নেয়া যাবে।
এদিকে রাজধানীর বেশির ভাগ কেন্দ্রে বেড়েছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা। সকাল থেকেই ভিড় করছেন টিকাগ্রহীতারা। আজকের পর থেকে করোনার প্রথম ডোজ প্রত্যাশীরা টিকা পেতে কম গুরুত্ব পাবেন। এ ঘোষণার উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে। এতদিন যারা নানা অজুহাতে টিকা নেননি, বাড়ির কাছে পেয়ে তারাও টিকার জন্য ছুটে যাচ্ছেন।
সারাদেশে ২৮ হাজার বুথে টিকাদান কাজে যুক্ত রয়েছে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার জন। এর মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রের বাইরেও পাঁচটি করে ভ্রাম্যমাণ দল টিকা দেবে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে ৩০ থেকে ৫০টি করে বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। লোকজনকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে গত কয়েক দিন মাইকিং, গণবিজ্ঞপ্তিসহ বিশেষ প্রচার চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি মানুষ। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৮ কোটি ১৭ লাখের বেশি মানুষ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে। ঐ ঘোষণার পর দেশের টিকাদানকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হবে না। তবে প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ও বুস্টার (তৃতীয়) ডোজকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ইবাংলা/নাঈম/ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২