ইউক্রেন ও রাশিয়ার সামরিক হামলার মধ্যে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর তীরের অলভিয়া বন্দরে গোলাবর্ষণের শিকার হয়ে আটকে পড়ে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ। এতে জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যায়। তবে আজ বুধবার (০৯ মার্চ) রোমানিয়া থেকে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক জীবিত অবস্থায় দেশে ফিরেছেন।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদিসুরের মরদেহ নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স। এসময় হাদিসুরের অন্য স্বজনদের আহাজারিতে বিমানবন্দর এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার সময় ২৮ নাবিককে বহনকারী তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কিন্তু হাদিসুর রহমানের মরদেহ না আসায় কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রিন্স। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ভাই আমার কই, গো ভাই, তুমি কই। আমার ভাই আর নাই। আমার ভাই আর নাই।
থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ ইউক্রেনের একটি বাংকারের ফ্রিজারে রাখা হয়েছে। সুবিধাজনক সময়ে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
হাদিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগি উপজেলায়। বিমানবন্দরে আসা হাদিসুরের চাচাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার বলেন, আমাদের দাবি আমরা যেন ভাইয়ের মরদেহটা সঠিকভাবে বুঝে পাই।
তিনি আরও বলেন , হাদিসুর ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার ছোট দুই ভাইকে যদি সরকার কোনো চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় তবে পরিবাটির জন্য ভালো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই আমাদের চাওয়া।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকা পড়ে বাংলার সমৃদ্ধি। ২ মার্চ রাত ৯টা ২৫ মিনিটে জাহাজটি হামলার শিকার হয়।
হামলার কবলে পড়া ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র জীবিত ২৮ নাবিককে গত ৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ইবাংলা/জেএন/৯মার্চ ২০২২