ভারতের মেঘালয়ে জনিক মিয়া (২৭) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৪ মার্চ) ভোরে বড়ছড়ার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে হাত পা এবং মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জনিক সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বড়ছড়া গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলে। সোমবার দুপুরে নিহতের পিতা জিলু মিয়া ও পরিবারের সদস্যরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা বলেন, জনিক রোববার রাতে মেঘালয়ের বড়ছড়ার ৪নং বস্তি এলাকায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। এরপর সেখানকার কয়েকজন ভারতীয় নাগরিককে মারধর করে। ভারতীয় নাগরিকরা পাল্টা সংগঠিত হয়ে তাকে আটকে রেখে বেধড়ক গণপিটুনি দেয়। এরপর সীমান্তের শূন্যরেখার ভাঙ্গারঘাট কোয়ারীর উত্তর তীর এলাকায় মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হেফাজতে নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ভারতীয় নাগরিকদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডেন্টকে প্রতিবাদ জানিয়ে পত্র পাঠানো হবে।