ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বিশ্বব্যাপী তেলের বাজার নিয়ন্ত্রনে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বিষয় আলোচনা পুতিনের নিন্দা জানানোর আহ্বানের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) উপসাগরীয় দেশ দুটি সফরে যাত্রার প্রক্কালে জনসন এ কথা বলেন।
রাশিয়ার তেলের উপর নির্ভরশীলতা থেকে পশ্চিমকে মুক্ত করার চেষ্টার অংশ হিসেবে অলোচনার জন্য জনসন বুধবার (১৬ মার্চ) আবুধাবিতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং রিয়াদে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
গত শনিবার সৌদিতে ৮১ জনের গণ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ক্ষোভের পর জনসনের এই সফর নিয়ে বিতর্ক চলছে। সালমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক জামাল খাসগি হত্যার মূল পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮ সালে ইস্তান্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাসগিকে হত্যার জন্য রিয়াদ সমালেচিত হচ্ছে।
জনসনের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেছেন, জনসন মানবাধিকার এবং মৃত্যুদন্ডের বিষয়ে উদ্বেগের কথা উত্থাপন করবেন এবং ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নিন্দা জানাতে বিন সালমানকে বলবেন।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয়ই এখন পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের বিষয় স্পস্ট করেনি। তবে জনসন যাত্রার প্রাক্কালে বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের “নৃশংস এবং বিনা প্ররোচনায়” হামলার প্রতিক্রিয়া ইউরোপ ছাড়িয়ে বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোর প্রভাব শুরু হলে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি মোকাবিলায় একটি নতুন জোটের প্রয়োজন হবে।
ইবাংলা/ জেএন/ ১৬ মার্চ, ২০২২